নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বড়চাতরা গ্রামে শালী নদীর ওপর দিয়ে এক বুক জলের মধ্য দিয়ে পারাপার করছেন মানুষজন।
সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের বড়চাতরা গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শালী নদী। এই শালী নদীর এক প্রান্তে বড়চাতরা গ্রাম অপর প্রান্তে নিমতলা, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই নদী পারাপার করেন। কিন্তু এই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের। নদীর মাঝ বরাবর পারাপারের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শালী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সেই অস্থায়ী রাস্তাও ভেঙে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে এক বুক জল পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসী। যে ভাবে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন, তাতে যে কোন মুহূর্তে প্রাণহানিও ঘটতে পারে বলে দাবি। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ßুñলের ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের ßুñল, প্রাইভেট টিউশন বন্ধ হয়ে পড়ছে, ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। তাঁদের দাবি, এই সমস্যা আজকের নয় দীর্ঘদিনের। বাবা দাদুদের আমলের এই সমস্যা বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সমস্যা সমাধান হল না। প্রতিবছর বর্ষাকাল এলে তাঁদেরকে এই সমস্যায় পড়তে হয়। প্রসূতি বা অন্যান্য অসুস্থ মানুষদের সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতাল অথবা বাঁকুড়া সদরে নিয়ে যেতে গেলে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়, সে সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।
তাই সাধারণ মানুষদের এই মুহূর্তে একটাই দাবি, দ্রুত প্রশাসনের তরফে শালী নদীর ওপর একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হোক, যাতে আগামী দিনে তাঁদের এই ধরনের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।