সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাটি দায়ের করেন হাইকোর্টের আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। এখানে বলে রাখা শ্রেয় আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায় এর আগে সাগারদিঘির বিধায়কের পদ খারিজ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, দলবদলের পর বাইরনের বিধায়ক পদ যেন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এ হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন চিঠির উত্তর না পেলে মামলা করবেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন ও অধ্যক্ষের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে কোনও উত্তর না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন সৌম্যশুভ্র।আদালত সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
এখানে বলতেই হয়, ভারতীয় সংবিধানে দলত্যাগ বিরোধী আইন রয়েছে। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধির সময়ে তৈরি হয়েছিল সেই আইন। তবে বাইরন আদৌ এই আইনের আওতায় পড়বেন কি না তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, বিধায়ক বাইরন নিজে বলেছিলেন, তাঁর ক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হবে না। তাই পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। পাশাপাশি তিনি এও জানান, নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হতো, তাহলে তিনি পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াতেন।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের পর গত ২৯ মে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তিনি ছিলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র মুখ। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,’সাগরদিঘি’কে মডেল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। তার আগে বাইরনের দল বদল সেই জোটে কিছুটা ধাক্কা দেয় বলেই ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।