মালদা: পুকুরের ধার থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ালো চাঁচলে। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় চাঁচল থানার বিরস্থলী গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত গৃহবধূর পরিবার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ তুলেছেন। মৃতের স্বামীর বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মৃতের স্বামী রাজা খানকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম রুকসানা খাতুন (২৪)। এদিন ভোরে বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দুরে ওই গৃহবধূর দেহটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বধূকে শোবার ঘরে শ্বাস রোধ করে খুন করে হাত পা বেঁধে বিবস্ত্র করে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী রাজা খান। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে রুকসানার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজা খান নামে ওই ব্যক্তির। অভিযুক্ত পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। তাদের একটি চার বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। ওই দম্পতির মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত বলে অভিযোগ উঠছে।
মৃত রুকসানা খাতুনের মা আনো বিবি জানিয়েছেন, রাতে গ্রামে ধর্মীয় জলসা ছিল। জলসা থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়াও করেছে। তারপর ঘুমোতে যায় মেয়ে।
তারপরেই এই কাণ্ড ঘটেছে। জামাই এবং তার ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে অশান্তি চলছিল। মেয়েকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় জামাই। জামাই আমার মেয়েকে খুন করেছে। কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় মৃত বধূর স্বামী রাজা খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।