রবিবার বাড়িতে বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (laxmi puja)। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও লক্ষ্মীপুজোয় ফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাকসবজির দাম একটু বেশি থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত বছরে লক্ষ্মী পুুজোর বাজারে বেশি প্রভাব পড়েছিল করোনা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছরে ছবিটা একটু পরিষ্কার। শনিবার হুগলির আরামবাগের পুরাতন সবজি বাজারে বিভিন্ন ফলমূল থেকে শুরু করে শাক সবজির দাম লক্ষী পুজোর কারণে তুলনামূলক দাম অনেকটাই বেশি। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা এদিন একই কথা বললেন বাজার করতে এসে। লক্ষ্মী পুজোর বাজার করতে আসা ক্রেতা এবং বিক্রেতারা জানান, এবছর আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি টাকা কেজি হিসাবে ১০০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, লেবু ১০ টাকা পিস, পিয়ারা ৮০-১০০ টাকা কেজি, নাসপাতি ১২৯ টাকা কেজি, কলা ৬০ টাকা ডজন, নারকেল ৩০-৪০ টাকা পিস। ডাব ৪০ টাকা পিস। রাঙাআলু ৮০ টাকা কেজি, শাখালু ৮০ টাকা কেজি, পদ্মফুল ১০-১৫ টাকা পিস। বেদানা ১৮০ টাকা কেজি, পানফল ৮০ টাকা কেজি, বাতাবি লেবু ২০ টাকা পিস, আঙুর ২০০ টাকা কেজি, তরমুজ ৮০টাকা কেজি, আম ৩০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে বিভিন্ন শাকসবজির দাম লঙ্কা ৮০ টাকা কেজি, কুমড়ো ৩০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ২০ টাকা কেজি, চন্দ্রমুখী আলু ৩৩ টাকা কেজি, জ্যোতি আলু ২৩ টাকা কেজি বলে বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর খুচরো ফুলের দাম একটু কম ১৫০ টাকা কেজি। সব মিলিয়ে লক্ষ্মী পুজোর ফল থেকে শুরু করে সবজি দাম অনেকটাই বেশি। এ প্রসঙ্গে ফল ব্যবসায়ী সোমনাথ খটিক জানান, দুর্গা পুজোর পর থেকেই সমস্ত ফলের দাম বেড়ে গেছে। লক্ষ্মী পুজোর বাজারেতেও বেশিরভাগ ফলের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটাই বেশি। যেভাবে আমরা মাল কিনছি সেই অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এবছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি বাজারে। বাজার করতে আসা স্বপ্না বাড়িক জানান, গত বছরের থেকে এ বছরে বেশিরভাগ ফলের দাম লক্ষ্মী পুজোর কারণে একটু বেশি।