‘নবান্ন অভিযান’-এর মতোই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিপেজির বিভিন্ন কর্মসূচি জারি রাখতে হবে। সূত্রের খবর এমনটাই চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নবান্ন অভিযানের রেশ থিতিয়ে পড়ার আগেই রবিবার ওই অভিযানে গিয়ে আহত হওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙলে পাল্টা পুলিশ জলকামান ছোড়ে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধেও অবশ্য অভিযোগ ওঠে ইট-পাটকেল ছোড়ার। পাল্টা পুলিশও প্রতিরোধ করে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। নবান্ন অভিযানে আহত ওই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে শহরে এসেছেন বিজেপির দিল্লির নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল আসেন এদিন। রাজ্যের দায়িত্ব পাওয়া তথা বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে প্রথমবার বাংলার পর্যবেক্ষক হিসাবে কলকাতায় পা রাখেন এদিন। একই ভাবে প্রথমবার এসেছেন নতুন সহ-পর্যবেক্ষক তথা রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া। তাঁরাও এদিন বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। দমদম বিমানবন্দর থেকে বিধাননগর ও রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় গিয়ে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন আশা লকড়া। পাশাপাশি আর এক কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে খড়দা, পানিহাটি, উত্তর দমদম ও দমদম এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের দেখতে যাবেন। বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা।
উল্লেখ্য, আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করার বার্তা দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। জানান, বিজেপির নিচু তলার কর্মী ও সমর্থকদের সেই আন্দোলন, লড়াই দিল্লির নেতারা দেখেছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপির যে শক্তি, তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির থেকে ভয়ের কারণেই এই আক্রমণ চলেছে বলে জানান তাঁরা। আহত বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে দিলেন, তাঁদের পাশেই রয়েছেন দিল্লির নেতারা।