সফুরা জারগারের অ্যাডমিশন বাতিল করেছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Milia Islamia)। এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ করল জামিয়া কর্তৃপক্ষ। দিল্লি দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে নির্দেশিকা পেশ করা হয়েছে, সেখানে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তিনি যে বিক্ষোভ ও মিছিলের আয়োজন করেছিলেন সেদিকে নজর রেখেই এই পদক্ষেপ। বলা হয়েছে, অপ্রাসঙ্গিক ও আপত্তিক ইস্যুতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছেন সফুরা। তিনি নিরীহ পড়ুয়াদের উস্কানি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তাই জামিয়া মিলিয়া চত্বরের শান্তি বজায় রাখতে ওই প্রাক্তন পড়ুয়ার সেখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।সফুরার এমফিলে ভর্তি বাতিলের প্রতিবাদে জামিয়া মিলিয়ার বহু পড়ুয়া প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগস্ট সফুরার এমফিলে ভর্তি বাতিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে বলা হয়, সফুরা এমফিলের ডিসার্টেশন জমা দেননি। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাতে যোগ দিয়েছিলেন সফুরা নিজেও। যাকে ভাল চোখে দেখেননি জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার রিসার্চ স্কলার তথা সিএএ আন্দোলনের কর্মী সফুরাকে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তারির পর সফুরার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলাও রুজু করে তারা। তিহাড় জেলে বন্দিদশা থেকে জামিনের আবেদন করলেও তা তিন বার খারিজ হয়ে যায় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মানবিকতার খাতিরে ২০২০ সালের জুন মাসে সফুরাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।