ইডেন গার্ডেন্সের এই বাইশ গজ তাঁর খুব চেনা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে চাপিয়ে একটা সময় লাগাতার তাঁর শট গিয়ে পড়ত গ্যালারিতে। সেই ইউসুফ পাঠান তাঁর পয়া ইডেনে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। ইডেন মাতালেন লেজেন্ডরা। ক্রিকেট জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় শুক্রবারের ইডেনে লেজেন্ডরাই ছড়িয়ে দিলেন উষ্ণতা। ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাস শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হারাল ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে। প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস করে ৮ উইকেটে ১৭০ রান। রান তাড়া করতে নেমে ইউসুফ পাঠান ও তন্ময় শ্রীবাস্তব ম্যাচ জিতিয়ে দেন। স্লগ ওভারে ইরফান পাঠান চটজলদি ২০ রান করেন। ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ইন্ডিয়া মহারাজাস।
শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের অধিনায়ক জ্যাক কালিস। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের হয়ে ওপেন করেন কেভিন ও ব্রায়েন এবং হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার। মাসাকাদজা করেন ১৮ রান। কেভিন ও ব্রায়েন অবশ্য করেন ৫২ রান। যোগিন্দর শর্মার বলে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক কালিস অতীতে বহু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এ দিন তিনি করেন মাত্র ১২ রান। দীনেশ রামদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৪২ রানে। থিসারা পেরেরা ১৬ বলে ২৩ রান করেন। বাকিরা অবশ্য রান করতে ব্যর্থ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পঙ্কজ সিং ২৬ রানে দেন ৫ উইকেট। বহু যুদ্ধের সৈনিক হরভজন সিং-এর বলে বোল্ড হন কালিস।
ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন ইন্ডিয়া মহারাজাসের অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (৪)। আরেক ওপেনার পার্থিব প্যাটেলকে (১৮) ফেরান ব্রেসনান। তার কিছুক্ষণ পরেই আউট হন কাইফ (১১)। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে যখন চাপ অনুভব করতে শুরু ইন্ডিয়া মহারাজাস, ঠিক সেই সময়ে তন্ময় ও ইউসুফ চাপের মুখে চুপসে না গিয়ে পালটা মার দিতে শুরু করেন। চতুর্থ উইকেটে ইউসুফ ও তন্ময় ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তন্ময় ৩৯ বলে ৫৪ রানে আউট হন। ইউসুফ ৩৫ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। মারলেন ৫টি চার ও ২টি ছয়। তাঁর ভাই ইরফান তিনটি ছয় মেরে ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।