কলকাতা: রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের আশঙ্কা, ডেঙ্গু কিছুটা চরিত্র বদল করে থাকতে পারে। কারণ, সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশুর শরীরে প্লেটলেটের বদলে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে দেখা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য আগেই একপ্রস্থ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রতিটি হাসপাতালে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার একটি বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীরা। ওই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু-দাপটে দেখাতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
শনিবারের বৈঠকে জরুরি নির্দেশিকা:
১. ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে যদি কোনও রোগী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনের পোর্টালে।
২. কারও জ্বর হলে, উপসর্গ দেখা দিলে, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করানো আবশ্যক।
৩. রাজ্য টেস্টের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করবে না। কিন্তু টেস্টের খরচ মাত্রাতিরিক্ত হলে চলবে না।
৪. ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীদের আনুষাঙ্গিক খরচের নামে আকাশছোঁয়া বিল যেন না হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তেরররের আশঙ্কা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ডেঙ্গি-দাপটে কাঁপতে পারে রাজ্য। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই আশঙ্কার কথাও শোনালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।