প্রয়াত প্রাক্তন পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হওয়া সত্বেও ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৩ সালের পর থেকে তাঁর আম্পায়ারিং কেরিয়ারে দাঁড়ি পড়ে যায়। গত বছর আসাদের জুতো বিক্রি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
প্রথম জীবনে পাকিস্তানের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন আসাদ। মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসাবে খেলোয়াড় জীবন শেষ করে আম্পায়ার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন আসাদ। আম্পায়ার হিসাবে জীবনের প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেন ২০০০ সালে। প্রথম টেস্ট ম্যাচের আম্পায়ারিং করেন ২০০৫ সালে। এর পরে ২০০৬ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন আসাদ।
দীর্ঘ দশ বছরের আম্পায়ারিং জীবনে মোট ৬৪টি টেস্ট খেলিয়েছেন পাক আম্পায়ার। ১৩৯টি ওডিআই এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালের আইপিএল চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে।
টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দেশে ফিরে যেতে হয় আসাদকে। তারপরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেও সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে। আইসিসির এলিট প্যানেল থেকেও বাদ দিয়ে দেওয়া হয় আসাদকে। ২০১৫ সালে বিসিসিআইয়ের তরফে ম্যাচ গড়াপেটা ও যৌন কেলেঙ্কারির জন্য তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। গত বছর ফের খবরের শিরোনামে উঠে আসেন আসাদ। পাকিস্তানের একটি বাজারে তাঁর জুতো বিক্রি করার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। আসাদ বলেন, “দশ বছর ধরে আম্পায়ারিং করার পরে আর ক্রিকেটের প্রতি কোনও আকর্ষণ নেই। আমি এখন নতুন কাজটাই ভাল করে করতে চাই। আমার নিজের জন্য নয়, অন্যান্য কর্মচারীরা যেন সঠিক ভাবে বেতন পান, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই কাজটা করি। সারাজীবনের জন্য ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছি আমি।”
রউফের মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটমহলের অনেকেই। সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রামিজ রাজা টুইট করে বলেছেন, “আসাদ রউফের প্রয়াণের খবরে আমি খুব শোকাহত। শুধুমাত্র ভাল আম্পায়ারই নন, যথেষ্ট রসবোধও ছিল তাঁর মধ্যে। তাঁর শোকাহত পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল।” প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার কামরান আকমলও সমবেদনা জানিয়েছেন রউফের পরিবারকে।