বাগুইয়াটির দুই নাবালক ছাত্রের খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে নিয়ে খুনের স্থানে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করল সিআইডি। দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল বসিরহাটের হাড়োয়া ও ন্যাজাটে। বুধবার সেই দুই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্রকে। ছাত্র খুনের ২২ দিন পরে সিআইডি (CID) রাজ্য পুলিশের একটি দল পুনর্নির্মাণের কাজ করল। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটো নাগাদ হাড়োয়ার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে’র মৃতদেহ যেখানে ফেলে রাখা ছিল, মূল মাস্টারমাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুরী সহ মোট পাঁচ জন কিভাবে এই দুই ছাত্রকে খুন করেছিল তারপরে গাড়ি করে কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল কিভাবে রাখা হয়েছিল পুরোটাই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের সিআইডির সামনে পুনর্নির্মাণ করে দেখায়। তারপর ন্যাজাট থানার বাসন্তী হাইওয়ের রাজবাড়ি শিরিষ তলার পাশে অপর এক ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ পড়েছিল সেখানে সত্যেন্দ্রকে নিয়ে একইভাবে এই খুনের পুনর্নির্মাণ করে ক্যামেরায় ছবি তুলে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বাগুইয়াটি ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত মাসের ২২ অগস্ট নিখোঁজ ছাত্রের ১৪ দিনের পর বসিরহাট জেলা পুলিশ মর্গে ৬ সেপ্টেম্বর মৃতদেহ শনাক্ত করেছিলেন মৃতের পরিবারের বাবা ও মা। কিভাবে ওই দুই ছাত্রকে মেরে একটি চারচাকা গাড়িতে এনে বাসন্তী হাইওয়ের কুলটি ও রাজবাড়ির শিরিষ তলায় ফেলেছিল। সিআইডির ফরেনসিক ফিঙ্গার বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যে মাটি রক্ত নমুনা সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি স্যাম্পেল টেস্ট করেছে। এলাকায় দড়ি দিয়ে চিহ্নিত করেছে। তারপর বুধবার দুপুর বেলায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে সিআইডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে দুই ছাত্রকে কিভাবে তারা খুন করে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলেছিল তার পুনর্র্নির্মাণ করে।