আগামী বুধবার থেকে রাজ্য বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। তার আগে প্রথা মেনে সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) পৌরহিত্য সর্বদলীয় বৈঠক এবং বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য সব দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা আসন্ন অধিবেশনে সরকার পক্ষের তরফে বেশ কয়েকটি বিল আনার প্রস্তাব করা হবে বলে পরিষদীয় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে নতুন কয়েকজন মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তি এবং কয়েকজনের বিদায়ের ফলে আসন্ন অধিবেশনের আগে বিধানসভার আসন বিন্যাসেও বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভার ট্রেজারি বেঞ্চের বাঁদিকের প্রথম আসনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝে বসতে পারেন অরূপ বিশ্বাস, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক। একেবারে ডান দিকের আসনে বসবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনটিতে (মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসন) বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শোভনদেবকে। তবে বাইরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য একেবারে ডান দিকের আসন নিতে চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিধায়ক ও কর্মীদের দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ।
আরও জানা গিয়েছে, বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কক্ষ আপাতত তালা বন্ধই থাকছে। সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘরে বসতে পারেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যেই ঘরে বসতেন সেখানে বসবেন পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ঘরে বসবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ব্রাত্য বসু এতদিন যে ঘরে বসতেন সেখানে বসবেন রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র’র জন্য এতদিন বরাদ্দ ছিল যেই কক্ষ তা এবারে বরাদ্দ শিল্পমন্ত্রী ডা¬ শশী পাঁজার জন্য। শশী পাঁজা এতদিন যেখানে বসতেন সেখানে বসবেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আর মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী বসবেন প্রাক্তন মন্ত্রী ডা¬ রত্না দে নাগের জন্য বরাদ্দ যেই কক্ষ ছিল সেখানে। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বস্ত্র শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বসবেন সেই ঘরে, যেখানে বসতেন পার্থ ভৌমিক। পরেশ অধিকারী যেই ঘরে বসতেন সেই ঘর এখন বরাদ্দ শিক্ষা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের জন্য।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কারামন্ত্রী অখিল গিরি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের জন্য বরাদ্দ হওয়া ঘরগুলি জুড়ে হচ্ছে অফিস। নতুন করে করা হয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটির আলোচনা কক্ষ। প্রসঙ্গত, দপ্তর বদল হয়েছে অখিল গিরির। তিনি পাচ্ছেন নতুন অফিস।