বিশ্বকর্মা পুজোর নাম করে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল আরামবাগ দমকল কেন্দ্রের (Fire station) বিরুদ্ধে। আরামবাগ ফায়ার স্টেশন রিক্রিয়েশন ক্লাব নামে বিল ছাপিয়ে জোর করে তোলা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, আরামবাগ দমকল কেন্দ্রে বিশ্বকর্মা পুজো প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও হচ্ছে। তাই খরচ তুলতেই আরামবাগ মহকুমার নার্সিংহোম, হিমঘর, ইটভাটা, হোটেল, রাইসমিল,প্যাথলোজি, মদের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠল আরামবাগ দমকল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কারোর কাছে পাঁচ হাজার, কারোর কাছে দুই হাজার, তিন হাজার, দেড় হাজার, এক হাজার টাকা নেওয়া হয়, তাও বিলের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এক প্রকার জোবপূর্বক ও ধমক দিয়ে এই চাঁদা নিচ্ছে তারা। সরকারি দপ্তর কিভাবে বিল ছাপিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আরামবাগ মহকুমা ব্যবসায়ী মহলে। তাদের দাবি কি এমন পুজোতে খরচ যে এত বিপুল অঙ্কের টাকা তুলছে আরামবাগ দমকল কেন্দ্র। বিল ছাপিয়ে টাকা তোলার অভিযোগের প্রসঙ্গে আরামবাগ দমকল কেন্দ্রের ওসি পিনাকী দাস বলেন, দেখুন একটা মানুষের কাছে কিছু নিতে হলে একটা ডকুমেন্টস তো দিতে হবে। কালেকশন হচ্ছে। সেটা মানুষের সঙ্গে সেই ভাবে, কথা বলে ডোনেট করলে তবেই নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন,এখানে কালেশনের যেটা মেন জায়গা এখানে যে ইন্ডাস্ট্রিগুলো আছে রাইসমিল বলুন,কোল্ডস্টোরেজ বলুন, নার্সিংহোম, ইটভাটার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ডোনেশনের ব্যাপারে। নিয়মের কিছু ব্যাপার নেই। এটা ছেলেদের পরিষেবা। সারা বছর ধরে মানুষের পরিষেবা দেওয়া হয়। অপরদিকে এই বিষয়ে কোনও তৃণমূল নেতা প্রতিক্রিয়া না দিলেও আরামবাগ বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা আরামবাগ পুরসভার কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এটা ক্রাইম করছে। তোলাবাজির রাজত্ব চলছে। ফায়ার ব্রিগেড মানে মানুষের বিপদে থাকবে। ওরা যে আসে তার জন্যও টাকা নেয়। বেআইনি কিছু দেখলে আবার কেসও দেয়। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই যে টাকা তোলা চলছে। মানুষ তো ভয়ে টাকা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ধিক্কার জানাচ্ছি। যদি বন্ধ না হয়, তাহলে আমি প্রশাসনে লিখিত জানাবো। সবমিলিয়ে সরকারি দমকল কেন্দ্রের পুজোর চাঁদা তোলার নামে তোলাবাজি নিয়ে শোরগোল আরামবাগ মহকুমা জুড়ে।