কলকাতা: পরিবহণ দপ্তরের শাস্তিতেও হুঁশ ফেরেনি ব্যবসায়ীর। তার পরেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বাস মালিক সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বাস চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়লেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত বাস মালিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ, পাঁচ দিনের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জরিমানা জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, দু’টি বাসকে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে হেপাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।বিচারপতির হুঁশিয়ারি, এই নির্দেশ কার্যকর না করা হলে ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে ওই ব্যক্তিকে জেলে পাঠাবে আদালত।
দিনের পর দিন দূরপাল্লার বাস ধর্মতলায় দাঁড় করিয়ে রাস্তা আটকানো, ব্যবসা বানচালের অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা থেকে পুরুলিয়া বাস রুটের এক বাস মালিক। মামলাকারীর আইনজীবী দুর্গাপ্রসাদ দত্ত জানান, মহিলা বাস মালিক আলপনা হালদার বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁর দু’টি অত্যাধুনিক বাস রয়েছে, যেটি পুরুলিয়া ঝালদা থেকে রওনা দেয় কলকাতায়। ধর্মতলা পর্যন্ত দু’টি বাসি রাত্রিকালীন পরিষেবা দেয়। সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁরও দু’টি বাস রয়েছে। সেই বাসের রুট হল পুরুলিয়া ঝালদা থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত। কিন্তু সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’টি বাস পুরুলিয়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত স্টপেজ দিয়ে তারপরে সেটি করুণাময়ীতে পৌঁছে যায়। যে কারণে কল্পনাদেবীর ব্যবসায়ী এবং আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে সাধনবাবুর বিরুদ্ধে পরিবহণ দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন কল্পনাদেবী, পরিবহণ দপ্তর ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য সাধনবাবুর দু’টি বাসের পারমিট বাতিল করে দেয়। আর্থিক জরিমানা করা হয়েছিল। এর পরেও থেমে যাননি সাধনবাবু। একই কাজ করতে থাকেন।