উইম্বলডনের পর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে জাবেউর, সামনে শিয়নটেক

অল ইংল্যান্ড ক্লাব হোক কিংবা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম, র্যা কেট হাতে ওন্স জাবেউর-এর দাপট চলছেই। কোর্টে ‘আরব্য রজনী’ লিখে উইম্বলডনের পর আরও এক গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে তিউনিশিয়ার টেনিস খেলোয়াড়।আরবের প্রথম মহিলা হিসেবে আগে গত জুলাই উইম্বলডনের ফাইনাল খেলেছিলেন। এ বার তিনি জায়গা করে নিলেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের মেগা ফাইনালে। সেমি ফাইনালে তাঁর সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ক্যারোলিন গারসিয়া। আমেরিকার সিনথেটিক কোর্টে ফলাফল জাবেউরের পক্ষে ৬-১, ৬-৩।

ফাইনালে চলে গেলেও জাবেউরের লড়াই কিন্তু কঠিন হতে চলেছে। কারণ মেয়েদের টেনিসে ক্রমতালিকার পাঁচে থাকা জাবেউরের বিপক্ষে রয়েছেন শীর্ষ বাছাই ইগা শিয়নটেক। আগামি ১১ সেপ্টেম্বর কাকতালীয় ভাবে দুজনেই তাঁদের কেরিয়ারে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনাল খেলতে নামবেন। শিয়নটেক এর আগে দু’বার ফারাসি ওপেন জিতেছেন। তবে আফ্রিকার প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাস গড়া জাবেউরের ক্যাবিনেটে এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম নেই। গত জুলাইতে ঘাসের কোর্টে ফাইনালে গেলেও, এলেনা রিবাকিনার কাছে ৩-৬, ৬-২, ৬-২ ব্যবধানে হেরে যান জাবেউর। তাই এ বার আর খালি হাতে ফিরতে রাজি নন।
সেমি ফাইনালে গারসিয়াকে হেলায় হারিয়ে কোর্টেই শুয়ে পড়েছিলেন বছর জাবেউর। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আরও একটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠে কোর্টে বসে দু’হাত দিয়ে চাপড় মারতে লাগলেন। এরপর তিনি বলেন, ‘অসাধারণ লাগছে। উইম্বলডনের পর আমার উপর বিরাট চাপ ছিল। এখন আমি নিশ্চিন্ত। সিনথেটিক কোর্টে আমার মরসুমটা ভাল শুরু হয়নি। কিন্তু এখন ফাইনালে পৌঁছে আমি খুশি।’

আরব দেশের প্রথম মহিলা হিসাবে আগেও উঠেছিলেন উইম্বলডনের ফাইনালে। এ বার নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন তিনি। উইম্বলডনের পর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে উঠে গেলেন। আরবের প্রথম মহিলা হিসাবে কয়েক মাসের ব্যবধানে উইম্বলডন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে টিকিট পেয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি। এ বার শুধু প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অপেক্ষায় ২৮ বছরের জাবেউর।

২০১১ সালটা সম্ভবত ভুলতে পারবেন না জাবেউর। প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফিতে হাত রেখেছিলেন তিনি। ছুঁয়েছিলেন জুনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তাঁর দেশ টিউনিশিয়ার কাছেও ২০১১ বছরটা তাৎপর্য্যপূর্ণ। কারণ টিউনিশিয়া থেকেই শুরু হয়েছিল শাসকের বিরুদ্ধে বিপ্লব, গোটা দুনিয়ার কাছে যা পরিচিত ‘আরব স্প্রিং’ নামে। টেনিস রযা কেটের সাহায্যে কোর্টে একের পর এক ফুল ফোটাচ্ছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে তাঁর এই বিপ্লব এখনই থামার নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =