খলিস্তান দলে খেলত অর্শদীপ, ক্যাচ ফস্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজির আক্রমণের মুখে তরুণ পেসার

ক্যাচ ফস্কালেন অর্শদীপ সিং আর ম্যাচ ফস্কালো ভারত। কিন্তু শুধু ক্যাচ ফস্কেই থামল না অর্শদীপের দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হলেন প্রবল গঞ্জনার শিকার। ম্যাচের পরে নেটিজেনদের একাংশের প্রবল ট্রোলের শিকার হলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে খালিস্তানিদের যোগ রয়েছে বলে কটাক্ষ করা হয় তাঁকে। দুর্ভাগ্যজনক সোশ্যাল মিডিয়ার বিরক্তিকর প্রবণতায়, কিছু ‘অনুরাগী’ তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে কটূক্তি করেন। তরুণ সিমারের বিরুদ্ধে খালিস্তানি যোগের অভিযোগ তুলে নিজেদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটান তাঁরা।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর। ওই ম্যাচে খুব সহজ একটি ক্যাচ ফস্কান বোলার অর্শদীপ সিং। সেই সময়ে মাঠে থাকা ভারতীয় দলের সদস্যরাও বেশ রেগে গিয়েছিলেন অর্শদীপের উপর। কিন্তু ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিরাট কোহলি সাফ জানিয়ে দেন, এই ঘটনা ভুলে এগিয়ে যাবে অর্শদীপ। দলের সকলেই ওকে সাহায্য করবে। কিন্তু বিপত্তি শুরু হয় অন্য জায়গায়।

রবিবার ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, অর্শদীপের উইকিপিডিয়া পেজে লেখা হয়েছে, তিনি ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খলিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন। তবে সোমবার সকাল হতেই এডিট করে সেই তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ততক্ষণে বহু মানুষ অর্শদীপের এই তথ্য জেনে ফেলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্ল্যাটফর্মেও ছড়িয়ে পড়েছে এই তথ্য।
বিষয়টি জেনে নড়ে চড়ে বসে ভারত সরকার। আইটি মন্ত্রকের তরফে উইকিপিডিয়ার ভারতীয় আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আইটি মন্ত্রকের সচিব অলকেশ কুমার শর্মার নেতৃত্বে শীর্ষ স্তরের সরকারি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন উইকিপিডিয়ার প্রতিনিধিদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থেকেই উইকিপিডিয়ার তথ্যে বদল করা হয়েছে। এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। উইকিপিডিয়া আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করা হবে, এত অল্প সময়ের জন্য তথ্য বদল করার অনুমতি দেওয়া হয় কেন?”

প্রসঙ্গত, বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ উইকিপিডিয়ার তথ্য এডিট করতে পারে। তাই এই ওয়েবসাইটের তথ্য কতটা সত্যি তা নিয়ে আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে নেটিজেনদের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একজন শিখ ব্যক্তি ক্যাচ ফেলেছেন বলেই তাঁর নাম উগ্রপন্থীদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে পাক ম্যাচের পরে একের পর এক আঘাত নেমে আসছে ভারতের তরুণ পেসারের উপরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 3 =