মারধরের জেরে অসুস্থ ছাত্রছাত্রী, শোকজ অভিযুক্ত আরামবাগের শিক্ষককে

চরম অমানবিক ঘটনার নির্দেশন পাওয়া গেল হুগলির (Hooghly) আরামবাগের সামতা এলাকায়। গুণধর শিক্ষক এক সঙ্গে ১৫- ১৬ জন ছাত্র ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয় এবং ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। জানা গিয়েছে, স্কুলে মিড ডে মিল খাবার সময়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে এক ছাত্র ভাতের থালায় পড়ে যাওয়ার কারণে বেধড়ক মারধর করেন সামতা মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়দীপ মাইতি। শুধু একজনই নয়, এরকম ১৫ -১৬ জনকে বেধড়ক মারধর করার পর কান ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে এসব ছাত্র ছাত্রী। তাদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয় ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার পরেই অভিভাবক ও অভিভাবকরা স্কুলে হাজির হয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ছাত্রছাত্রীদের কেন এই ভাবে মারধর করা হল তার জবাব চান তারা। ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতেও তারা সরব হন। এদিকে ঘটনার পর খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ দিপক মাঝি, হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় ও শিক্ষা দপ্তরের এসআই সহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ। ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার আরামবাগের আড়ান্ডি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামতা এলাকার সামতা মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিত্যদিনের মতো মিড ডে মিল খাওয়ানো হচ্ছিল। সেই সময়ে ছাত্রছাত্রীরা খাবারের জায়গায় বসতে যাওয়ার সময়ে ঠেলাঠেলি করে। তখন এক ছাত্র ভাতের থালায় পড়ে যায় ও ডিমের তরকারিতে পড়ে যায়। তাতে কয়েকটা ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তখন দায়িত্বে ছিলেন এক সহ শিক্ষক জয়দীপ মাইতি। অভিযোগ, এই দৃশ্য দেখে তিনি নিজেকে ঠিক থাকতে না পেরে ওই ছাত্রকে ব্যাপক মারধর করেন। আরও ১৫ জনকে মারধর করে কড়া রোদে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এরপরেই ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি চলে যায়। রাতে তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরে শনিবার স্কুল খোলার পর অভিভাবকরা স্কুলে এসে ব্যাপক ক্ষোভ দেখান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 15 =