ঢাকের বোল-ধুনুচি নাচে আজই রাজ্যজুড়ে শুরু শারোদৎসব

ঢাকের বাদ্য, ধুনুচি নাচ, মুহুর্মুহু শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে পুজো শুরু হওয়ার একমাস আগেই আজ উৎসবের অকাল বোধন হল বাংলায়। বাংলার দুর্গোৎসবকে ‘আবহমান ঐতিহ্য’- হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে জোড়াসাঁকো থেকে মহা মিছিলের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জানিয়ে দিলেন আজ থেকেই রাজ্যে পুজো শুরু হয়ে গেলো।

সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে উৎসবে সামিল হতে রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানান তিনি । দুর্গাপুজোকে নিয়ে বাঙালির চিরাচরিত  আবেগ আজকের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠার ছবি ধরা পড়েছে। জোড়াসাঁকো থেকে কলুটোলা, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে রেড রোড পর্যন্ত মিছিলের যাত্রাপথের দু পাশে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই  উৎসাহী মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে।  ছৌনাচ,  ধামসা-মাদল, বাউল গানের মত বাংলার ঐতিহ্য মিছিলে তুলে ধরা হয়।  রংবেরঙের বেলুন, পতাকা  দুর্গামূর্তি ধুনুচি নাচের মধ্যে দিয়ে পুজো কমিটি তুলে ধরে উৎসবের আবহ। পদযাত্রা শুরু আগে অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।  রং বেরঙের ছাতা মাথায় শোভাযাত্রায় শামিল হন মানুষ। মঞ্চেও বাংলার ঐতহ্যকে তুলে ধরে অনুষ্ঠান পরিকলপনা করা হয়েছিল। রাজ্যের চিরায়ত ঐক্যের ছবি ভিনদেশী অতিথিদের সামনে তুলে ধরতে ছিল বিশেষ আয়োজন।

রাজ্য সরকারের পাশাপাশি ইউনেস্কোর দুই প্রতিনিধিকে সম্বর্ধনা দেওয়া কলকাতার তিন খ্যাতনামা ফুটবল ক্লাব, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তরফে।মুখ্যমন্ত্রী ইউনেস্কোর দুই প্রতিনিধি টিম কার্টিস ও এরিক ফাল্টের হাতে সম্বর্ধনা তুলে দেন। তাঁদের ডোকরার তৈরি  দুর্গাপ্রতিমা র প্রতিকৃতি বিভিন্ন ধরনের বই তুলে দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে তাঁর অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সমাজ  গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন।মুখ্যমন্ত্রী ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুর্গাপুজো শুধু বাংলার ঐতিহ্য নয়, এর মাধ্যমে মানবতা ও ঐক্যের বার্তা প্রচার করা হয়। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়।পুজোর কলকাতা সফর করতে তিনি ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 6 =