কলকাতা: সুন্দরী মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্বের টোপ! তাঁকে নিয়ে শহর বা শহরের বাইরে নিভৃতে সময় কাটানোর প্রলোভন দেখিয়ে এবার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল একটি এসকর্ট সার্ভিস সংস্থার বিরুদ্ধে।
‘বন্ধুত্বরে ক্লাব’-ছদ্মবেশে একাকী জীবনে নিসঙ্গতা দূর করতে দেওয়া হয় সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গলাভের প্রলোভন। অভিযোগ সেই ফাঁদে পা দিয়েই টাকা খুইয়েছেন এক ব্যক্তি। তদন্ত নেমে ক্রেতা সেজে ওই প্রতারণা চক্রের পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার লালবাজারের গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম পাঠান আমির খান। শনিবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রতারণা চক্রের বাকি সদস্যদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।সম্প্রতি লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ আসে, কলকাতাজুড়ে চলছে এসকর্ট সার্ভিসের (Escort Service) নামে প্রতারণা চক্র। অনলাইনেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। সাধারণত ‘ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে’র নামেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। বলা হত, তাদের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত সুন্দরী মহিলারা। ওই মহিলারা এসকর্ট সার্ভিস দেন। তাঁদের নিয়ে কেউ শহরের কোথাও বা কলকাতার বাইরে নিয়ে গিয়েও সময় কাটাতে পারেন। পুরো ব্যবস্থাই করে দেবে এই ক্লাবটি। সেই টোপে পাও দিচ্ছেন অনেকে। যেমন পা দিয়েছিলেন অভিযোগকারী।জানা গিয়েছে, অনলাইনের বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করতেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ওই ব্যক্তি এসকর্টকে নিয়ে কোথায় যেতে চান? এর পর তাঁকে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের মেম্বারশিপের জন্য কিছু টাকা দিতে বলা হত। অনলাইন অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দিলে বলা হয়, এসকর্টের সঙ্গ পেতে গেলে রেজিস্ট্রেশন চার্জ লাগবে। সেই টাকা দিতেই বলা হয়, তাঁর শারীরিক সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন মেডিক্যাল পরীক্ষার। সেইমতোও টাকা নেওয়া হয়। পরে ঘর ভাড়ার জন্যও আগাম টাকা চাওয়া হয়। এই রকম ভাবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
লালবাজারের গোয়েন্দারা এর পরই চক্রের চাঁইকে ধরতে ‘খদ্দের’ সেজে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেইমতো অভিযুক্তদের মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, তারা সার্ভে পার্ক এলাকার একটি বহুতলের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিত ওই বহুতলে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।