সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কাজী আহাসান উল্লাহর গ্রেপ্তারের পরেই হুগলি জেলার আরামবাগ জুড়ে চাঞ্চল্য। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়িবাড়ি থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স (special taskforce)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কাজী আহাসান উল্লাহ। বাড়ি আরামবাগের সামতা গ্রামের কাজী পাড়ায়। যদিও ছোট থেকে বাইরে থেকে পড়াশোনা, তার পর কর্ম ক্ষেত্রেও কখনও হাওড়া বা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। সেখানেই সংসার জীবন শুরু। দেশের বাড়ি আরামবাগের সামতা খুব কম সময় যাতায়াত ছিল হাসানের। আরামবাগ শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ছোট একটা গ্রাম সামতা। এই গ্রামের বাজার থেকে কিছুটা দূরে পাড়ার একবারে শেষ প্রান্তে ঝোপঝাড়ে ঘেরা ছোট্ট একটা পাকার বাড়ি। এই বাড়ি তার মা ফরিদা বিবি একাই থাকেন। বাবা কাজী সফিউল্লাহ বর্ধমানে কর্মসূত্রে থাকেন। হাসানের গ্রেপ্তারের খবর আসতেই আরামবাগের সামতা এলাকায় একটা শোরগোল পরে যায়। এই বিষয়ে সামতা এলাকার প্রতিবেশী যুবক জানান, শুনেই অবাক হয়ে গেছি। মাঝে মধ্যে গ্রামে আসতেন। শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কিন্তু সেই ভাবে মেলামেশা করত না কারও সঙ্গে।
কথাও বলত না। বাজারে অল্প ঘোরাঘুরি করে, ফের বাড়ি চলে যেত। অপরদিকে কাজী ফজুল ইসলাম জানান, পরব বা উৎসব হলে ও আসত। জঙ্গি বলে কখনও মনে হয়নি। রাতের অন্ধকারে কেউ কোনও দিন আসেনি। গ্রামের যাকে জিজ্ঞেস করবেন সেও একই কথা বলবে। পাশাপাশি অন্যান্য স্থানীয় মানুষেরা বলছেন, যদি কোনো ভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। তবে সকাল থেকে খবর পেয়ে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার কাজী আহাসান উল্লাহর মা
ফরিদা বিবিও কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। নিজের পছন্দে বিয়ের পর থেকেই ছেলে নিজের মতো করে থাকে। যোগাযোগ সেই ভাবে নেই। মাঝে মধ্যে আসত গ্রামে। এবারেও পরবে বাড়ি এসেছিল। তারপর আসেনি। শুনেছি, বর্তমানে সে পুরনো গাড়ি নিয়ে ব্যবসা করে।