টুইটার ব্যবহারে ৩৪ বছরের জেল সৌদি তরুণীর

টুইটার (Twitter) ব্যবহারের অপরাধে সৌদি আরবের (Saudi) এক মহিলাকে ৩৪ বছরের জন্য কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। রাজ পরিবারের সমালোচক বিক্ষুব্ধ তথা ভিন্নমতাবলম্বী ও সমাজকর্মীদের ফলো করা এবং টুইটগুলি রিটুইট করা হয়েছে বলেও মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ!

ওই সৌদি মহিলার নাম সালমা আল-শেহাব। তিনি ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেখান থেকে পিএইচডি করছিলেন তিনি। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। ভাবতেও পারেননি রাতারাতি এত বড় বিপদের মুখে পড়বেন। সৌদি আরবের বিশেষ সন্ত্রাস দমন আদালত প্রথমে অবশ্য তিন বছরের সাজা শুনিয়ে ছিল সালমাকে।

২০১৮-১৯ সাল থেকে ব্রিটেনে পঠনরত সালমা। তাঁর দুই সন্তান ও স্বামী এই মুহূর্তে সেখানেই রয়েছেন। সালমার পরিকল্পনা ছিল তাঁদেরও দেশে নিয়ে আসার। কিন্তু অচিরেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বিপদ ঘনিয়ে এল তাঁর জীবনে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত চাপ বাড়লে সালমার সাজার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করে কি না সেদেশের আদালত। আপাতত সেই কামনাই করছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার সরকারি আইনজীবী আদালতের কাছে আরজি জানান, সালমার সাজার বিষয়টি পুনর্বিবেচিত হোক। এরপরই আদালত তাঁকে ৩৪ বছরের সাজা শোনায়। পাশাপাশি জানিয়ে দেয়, আরও ৩৪ বছর তাঁর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও বিক্ষুব্ধদের টুইটকে রিটুইট করার ‘অপরাধে’ এমন সাজার ঘটনায় বিস্মিত বিশ্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =