অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার নামে কৌশলগতভাবে আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল মালদার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উত্তর বালুচর এলাকার এক শাখা অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মালদা শহরের উত্তর বালুচর এলাকায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র শাখা অফিস থেকেই কয়েকশো গ্রাহকদের জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এরপর ওই শাখা অফিসে টাকা জমার দেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক গ্রাহকেরা।
মঙ্গলবার দুপুরে মালদা শহরের নেতাজি সুভাষচন্দ্র রোড এলাকায় অবস্থিত ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সামনে গ্রাহকেরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসেন। বিক্ষোভকারী গ্রাহকদের অভিযোগ, শহরের এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়েই বালুচর এলাকায় গ্রাহক সেবা কেন্দ্র নামে ব্যাংকের শাখা অফিসটি খোলা হয়েছিল। আমাদের ওই ব্যাংকে জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এরপরে সেই অ্যাকাউন্টে আমরা অল্প অল্প করে টাকা জমা দেওয়ার কাজ শুরু করি। ওই ব্যাংকের শাখা অফিসের একজন কর্মী আমাদের টাকা নিয়ে বলে যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে গিয়েছে। এরপরে যখন ব্যাংকের বই আপডেট করতে যায় ছয় মাস ধরে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ঘোরায়। বলে যে মেশিন বিকল আছে। তাই আপডেট হবে না। অবশেষে জানতে পারি ওই ব্যাংকের যে কর্মীর হাত ধরে আমরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছিলাম সে কারোর টাকা জমা দেয়নি। সমস্ত টাকা নিয়েছে চম্পট দিয়েছে। কয়েকশো গ্রাহকদের প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলতে চাইছে না। এ ব্যাপারে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই কর্মীর আর্থিক লেনদেনের জালিয়াতির প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।