উদ্ধার হওয়া রক্তাক্ত মহিলার শনাক্তকরণ করল পুলিশ, গ্রেপ্তার স্বামী

মালদা: জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই শনাক্ত করল পুখুরিয়া থানার পুলিশ। ওই মহিলাকে তার স্বামী খুন করার পর পুখুরিয়া থানার কাগাতিরা এলাকার জঙ্গলে ফেলে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই মৃত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার জেরেই এই সাংসারিক অশান্তি চলছিল। আর এরপরই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত স্বামী। রবিবার ধৃত ওই ব্যক্তিকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম রেশমা খাতুন (২৫)। তার বাড়ি পুখুরিয়া থানার সম্বলপুর শিবনগর এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নাসির আলি।
শনিবার সকালে কাগাচিরা এলাকার রাজ্য সড়কের ধারে একটি জঙ্গল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। এরপরই সংশ্লিষ্ট থানার ওসি গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ওই মৃতদেহটির খুনের প্রমাণ মিলে। এরপরই নানা সূত্র ধরে মৃত ওই মহিলার স্বামীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুকুরিয়া থানার ওসি গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত শুরু করে মৃত মহিলার পরিচয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে রেশমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী গ্রামের বাসিন্দা নাসির আলির। কয়েক মাস ধরে ওই দম্পতির পরিবারে অশান্তি চলছিল। অভিযুক্ত নাসির আলি এলাকারই একটি মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ওই গৃহবধূ রেশমা খাতুন। এর পরই বদলা নিতে স্ত্রীকে শুক্রবার রাতে খুন করার পর গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ওই জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে তার পরিবারের লোকেরা সাহায্য করেছিল কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত ওই গৃহবধুর বাবা পুকুরিয়া থানায় অভিযুক্ত জামাই সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে খুন এবং নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 15 =