রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বোধহয় একেই বলে। বাংলাদেশের টি-২০ দলের অধিনায়ক হিসাবে ফিরলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার শাকিব আল হাসান। এশিয়া কাপ থেকে টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করবেন শাকিবই। শনিবার জানিয়ে দিল বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর শাকিব আল হাসানের দ্বন্দ্বের কথা সকলেরই জানা। শাকিব কখনও ক্রিকেটারদের বেতন নিয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, কখনও হুটহাট বিশ্রাম চেয়ে বিতর্কে জড়ান, আবার কখনও জুয়া সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বোর্ডের বিরাগভাজন হন। কিন্তু সবশেষে তিনিই যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য তারকা সেটা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। যাবতীয় বিতর্ককে পিছনে ফেলে ফের শাকিবকেই অধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা করতে হল বিসিবিকে।
অথচ দিন দুই আগেই শাকিবের এশিয়া কাপে খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আসলে দিন কয়েক আগে অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা। এই বেটউইনার অনলাইন জুয়া খেলার জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী জুয়াড়ি সংস্থার সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখার অনুমতি ক্রিকেটারদের দেওয়া হয় না।
সেটা শাকিবকে জানানো হলেও তিনি চুক্তি বজায় রাখার দাবিতে অনড় ছিলেন। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সাফ হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন, এই চুক্তি বাতিল না করলে শাকিবকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়াই হবে না। শেষমেষ শুক্রবার চুক্তি বাতিল করেন বাঁহাতি অল-রাউন্ডার। শনিবারই আবার সব ভুলে তাঁকে অধিনায়ক করা হল। শনিবার এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
শাকিবের অধিনায়ক হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন, “আমাদের শাকিবকেই অধিনায়ক করতে হবে। কারণ উপায় নেই। লিটন দাস বা নুরুল হাসান সুস্থ থাকলে ওদের কাউকেই অধিনায়ক করা হত। ওদের চোট। আর নতুনরা কেউ তৈরি নয়।” আসলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট চরম সংকটে। দলে পুরাতনদের বিদায় জানিয়ে নতুনদের আগমন হচ্ছে। তাছাড়া একগুচ্ছ চোট-আঘাত জনিত সমস্যাও রয়েছে। সেকারণেই বাধ্য হয়ে পুরনো ও ভরসাযোগ্য মুখের উপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।