কলকাতা: গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে আম-জনতার অপেক্ষা, এবার কে? ইডি-সিবিআই-এর জালে পড়বে কোন রাঘব বোয়াল!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গোরু পাচার কাণ্ডে ইডি- সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার সমাজের গণ্যমান্যরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। এবার ইডি-সিবিআইয়ের সক্রিয়তা নিয়ে সরব হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘ইডি-সিবিআই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। রাস্তায় নামিয়ে আসছে।’ নারদা মামলায় বেশ কয়েকদিন জেলবন্দি ছিলেন ফিরহাদ। পরে হাই কোর্টে জামিন পান। বরাবরই আইনের উপর আস্থা রেখেছিলেন। সে কথা বারবার বলেওছেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের মুখ খুললেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেভাবে সামাজিক সম্মান হরণ করা হচ্ছে, তাতে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। অনেকের এই ধরনের অসভ্যতামি দেখে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমার মত অনেকেরই অসীম ধৈর্য নেই। যাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, তাদের কাছে আমি আবেদন করব, এই ধরনের কথা থেকে বিরত থাকতে।’
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারিতে ইডি-সিবিআইকে ধন্য ধন্য করেছে বিজেপি, সিপিএম। কোথাও কোথাও আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে মিছিল, সভা হয়েছে। বিশেষত অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিখ্যাত উক্তি অনুযায়ী ‘গুড়-বাতাসা’, ‘নকুলদানা’ বিলি করেছেন বিরোধী নেতারা। এসবকে ‘অসভ্যতামি’ বলে চিহ্নিত করলেন ফিরহাদ হাকিম। আর তার বিরোধিতায় আক্রমণ শানিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে ফিরহাদ হাকিমের আবেদন, ‘ধৈর্য কেউ হারাবেন না।’এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছেন, হিংসা দিয়ে নয়, রাজনৈতিকভাবেই কেন্দ্রের নানা প্রতিহিংসামূলক কাজের জবাব দিতে হবে। ফিরহাদের গলাতেও সেই একই সুর। দলের নেতা,মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের পদক্ষেপে রাগ হলেও তা যেন হিংসাত্মকভাবে প্রকাশ না হয়, দলীয় কর্মীদের সেই বার্তাই দিলেন মেয়র।। বিশেষত নানা আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি, গ্রেপ্তারি চলছে, তাতে ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।