কলকাতা: একসময় ছিল বিলাস বহুল জীবন। গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্র্যান্ডেড পোশাক। গ্ল্যামার জগতে ছিল ওঠাবসা। সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থেকেই এখন মুখ ফিরিয়েছেন আত্মীয়রা। পরার মতো জামাকাপড়ও নেই। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে প্রায় নিঃসঙ্গ দিন কাটছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। কারও সঙ্গে দেখা হচ্ছে না তাঁর। জেল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে, রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় এবং আইনজীবী ছাড়া আর কারও সঙ্গেই দেখা করতে পারবেন না তিনি। তবে তাঁর মা এবং দিদি কেউই অর্পিতাকে দেখতে আসেননি। আলিপুর সংশোধনাগারে ২২ জন বন্দিদের সঙ্গে একই সেলে দিন কাটছে অর্পিতার। বেশ কিছু সময় তিনি চুপচাপ থাকলেও মাঝেমধ্যে অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সূত্রের খবর, জেল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া নম্বরে অন্যান্য বন্দিরা দিনে ১ বার ফোনে কথা বলতে পারেন, কিন্তু অর্পিতার ক্ষেত্রে সেই ছাড়ও নেই। আইনজীবীদের কাছে তাঁর মায়ের শরীর নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্পিতা। জানা গিয়েছে, তাঁকে সময় কাটানোর জন্য একটিমাত্র বই দেওয়া হয়েছে, আর কোনও বই দেওয়া হয়নি বলেও নাকি আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যেহেতু অর্পিতার নিরাপত্তায় বিশেষভাবে নজরে রয়েছে আদালতের, তাই তাঁরা অর্পিতার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
অর্পিতার মায়ের বয়স অনেকটাই। শারীরিকভাবেও তিনি ততটা সমর্থ নন। সূত্রের খবর, মেয়েকে জেলে দেখতে আসা তাঁর মায়ের পক্ষে সম্ভব নয়। দিদিও আসেননি দেখতে, তাই মনে কষ্ট রয়েছে অর্পিতার। পাশাপাশি জামা কাপড় পেতেও অসুবিধা হচ্ছে। কারাগার কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শরীর ঠিক থাকলেও মন ভালো নেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার।