বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন প্রবাসী বালোচরা

পাকিস্তান ভেঙে তৈরি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। এবার ইসলামাবাদের শাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে দেশটির সবচেয়ে বড় প্রদেশ বালোচিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে চাপ আরও বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করলেন প্রবাসী বালোচরা।

উল্লেখ্য পাকিস্তানে (Pakistan) স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৪ অগস্ট। কিন্তু তাতে অংশ নেন না বালোচরা। দেশের মাটিতে পাক সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্বাধীনতাপন্থী বালোচরা ১১ অগস্ট পালন করেন তাঁদের স্বাধীনতা দিবস। এবারও সেই প্রথায় ছেদ পড়েনি। গতকাল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বালোচরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির সেই দিনটিকে স্মরণ করেছেন। দাবি তুলেছেন, পাকিস্তান আর তার দোসর চিনের শোষণ থেকে মুক্তির। এই আন্দোলনের জেরে পাকিস্তানের শাসকদের উপর রীতিমতো চাপ বেড়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে। বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার।

পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবেও সবচেয়ে সম্পদশালী। ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালুচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 6 =