মালদা: মানিকচকের নারায়ণপুর এলাকায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে ধীরে ধীরে তলিয়ে গেল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একই অবস্থা বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি হাইস্কুলের। গঙ্গা নদীর ভাঙন একটি জাতীয় সমস্যা। কেন্দ্র সরকার কেন চুপ করে বসে রয়েছে তা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যতটা পারছেন গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের করার প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছেন। কিন্তু গঙ্গার ভাঙন একটা জাতীয় সমস্যা। কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থা ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। তাদের চোখের সামনে মালদার মানিকচক এবং কালিয়াচক ৩ ব্লকে ভয়াবহ গঙ্গার ভাঙন চলছে। কেন তাঁরা ভাঙন প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে না। কেন্দ্র সরকারের এই উদাসীনতার জবাব মানুষ দিবে বলেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর এলাকায় ব্যাপক গঙ্গার ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে সেই ভাঙন পরিস্থিতি সরেজমিনে তদারকি করেছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন থেকে জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। অস্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানোর জন্য সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারেরা কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে নারায়ণপুর চর এলাকায় আস্ত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গঙ্গার গর্ভে ধীরে ধীরে তলিয়ে গিয়েছে। যার জেরে গোটা এলাকা জুড়ে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ভাঙনের জেরে এরপর নারায়ণপুর গ্রামের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। গঙ্গা যেভাবে কাটছে তাতে মনে হয় এবার সব শেষ হয়ে যাবে। প্রশাসনকে আমরা এলাকায় ভাঙন ঠেকানোর জন্য সব রকম ভাবেই অনুরোধ জানিয়েছি।
রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, স্থায়ীভাবে গঙ্গার ভাঙন ঠেকানোর ক্ষেত্রে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায় নিজের উদ্যোগেই ভাঙন ঠেকানোর জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা রাতদিন এক করে অস্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করছেন। নারায়ণপুর এলাকায় যে স্কুলটি গঙ্গার ভাঙনের মুখে পড়েছে তা বিকল্প তৈরি করার জন্য একটি জায়গা দেখা হবে। একইভাবে বৈষ্ণবনগরের একটি হাইস্কুল বিপদজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। এক্ষেত্রেও বিকল্প জায়গা দেখে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গার ভাঙনের সমস্যার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ গ্রহণ করুক। তাদের উদাসীনতার জন্যই আজকে ভাঙনের এই পরিস্থিতি।