মৃণালের মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তির দীর্ঘ ২৬ বছর পর পূর্ণমন্ত্রী হলেন প্রদীপ মজুমদার

দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এবার এক জোড়া মন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা তথা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার বুধবার মন্ত্রীত্ব পাওয়ায় খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে। তবে দুর্গাপুরবাসীর কাছে উপরি পাওনা প্রদীববাবুর মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তি। বাম আমলে দুর্গাপুর থেকে ১৯৯৬ সালে মন্ত্রী হয়েছিলেন মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ বহু বছর পর আবার দুর্গাপুর থেকে মন্ত্রীত্ব পেলেন প্রদীপ মজুমদার। তবে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলায় একমাত্র মন্ত্রীত্ব পান মলয় ঘটক। প্রদীপবাবু মন্ত্রী হওয়ায় দুর্গাপুরে তৃণমূল সংগঠন আরও চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি দুর্গাপুর সহ রাজ্যের উন্নয়নের কাজও তিনি দায়িত্ব নিয়ে পূরণ করবেন বলে আশাবাদী।
এদিন রাজভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপবাবু’কে পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দেন। এবং প্রদীপবাবু মন্ত্রীপদ গ্রহণ করে শপথবাক্য পাঠ করেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন দুর্গাপুরের কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা ও দেবব্রত সাঁই। মন্ত্রীত্বের শপথ নেওয়ার পরেই দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা এলাকাবাসীকে মিষ্টিমুখ করান। স্বাভাবিকভাবেই জেলার তৃণমূল মহলে বইছে খুশির হাওয়া। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সূত্রে জানা যায় প্রদীপ মজুমদার রাজ্য সরকারের প্রধান কৃষি উপদেষ্টা। দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন এক সময় দূর্বল হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে দল’কে চাঙ্গা করতে প্রদীপবাবু’কে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার প্রার্থী হয়ে প্রদীপবাবু সিপিএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যান। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী না হলেও প্রদীপবাবু ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি হয়ে লাগাতার কাজ করে যান। এলাকার মানুষের সমস্যা দূর করতে তিনি একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেন নিঃশধে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফের তিনি ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। বিধায়ক হওয়ার পরে তিনি এলাকার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প তিনি করেন। তাঁর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পরে দুর্গাপুর পুরসভার একটি অংশ সহ কাঁকসা ব্লকের পঞ্চায়েতর বেশ কিছুটা অংশ। তিনি শহর ও গ্রামের মধ্যে সমানতালে তাঁর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাঁর কর্মদক্ষতা ও জনপ্রিয়তা সহ একাধিক কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে এদিন তাঁর মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − nine =