ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-২০ ম্যাচেরও শুরুর সময় পিছোল

পিছিয়ে দেওয়া হল ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরে শুরু হবে খেলা। প্রসঙ্গত, সোমবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেখানে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র সতেরো রানে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দেন ওবেদ ম্যাকয়।

সোমবারের ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়েছিল। ত্রিনিদাদ থেকে সেন্ট কিটসে পৌঁছতে দেরি হয়েছিল দলের কিটব্যাগ। তার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে দু’ ঘণ্টা দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়। ভারতীয় সময় রাত আটটার পরিবর্তে দশটায় মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। পরপর দু’দিন ম্যাচ খেলতে নামার ফলে একেবারেই বিশ্রাম পাবেন না তাঁরা। সেই কথা মাথায় রেখেই তৃতীয় ম্যাচের সময় পালটে দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সংস্থার তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এবং ৭ আগস্টেও পরপর দু’দিন ম্যাচ খেলতে হবে দুই দলকে। তাই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
টরবার ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রথম টি ২০ জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ হয় সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে।

ম্যাচের শুরুতে চরম অব্যবস্থাপনায় মনসংযোগে কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। ওয়ার্নার পার্কের গতি এবং বাড়তি বাউন্সও সমস্যায় ফেলেছে ভারতকে। ব্যাটিং একেবারেই ভালো হয়নি। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। ইনিংসের ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। ১৩৮ রানেই অলআউট ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ হাতি পেসার ওবেদ ম্যাকয় মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ভারতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই আউট রোহিত শর্মা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনার হিসেবে ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদব। শ্রেয়স আইয়ার এই সিরিজে ভরসা দিতে পারছেন না। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে একটি মাত্র বদল করেছিলেন রোহিত। লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোইয়ের জায়গায় আবেশ খান। এই ম্যাচে শ্রেয়সের পরিবর্তে দীপক হুডাকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

সামনেই টি ২০ বিশ্বকাপ। সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টায় ভারত। সোমবার হারের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘বোর্ডে যথেষ্ঠ রান তুলতে পারিনি আমরা। ব্যাটিং ভালো হয়নি। পিচ নিয়ে কোনও অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই। ব্যর্থতা আমাদের। তবে এমনটা হতেই পারে। ব্যাটিংয়ে কিছু পরীক্ষা চলছে। সবদিনই তা ঠিকঠাক যাবে, এমনটা নাও হতে পারে। নিজেদের ভুলগুলো শুধরানোর চেষ্টা করব।’ বোলাররা যদিও ম্যাচটাকে রুদ্ধশ্বাস করে তুলেছিলেন। শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার থাকতেও আবেশ খানকে কেন শেষ ওভার দেওয়া হল!

রোহিত জানালেন, ‘সকলকেই সুযোগ দিত হবে। ভুবনেশ্বরের দক্ষতা সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু অর্শদীপ কিংবা আবেশকে সুযোগ না দিলে, ওদের স্নায়ুর চাপ বা শেষ দিকে বোলিং করার দক্ষতা সম্পর্কে জানবো কী করে! বোর্ডে যে টুকু রান ছিল, হয়তো ১৩-১৪ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারত। আমাদের বোলিং বিভাগ কিন্তু শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। একটা হারেই প্যানিক করার কিছু নেই। একটা ম্যাচেই সবকিছু বদলে দেওয়ারও কারণ নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =