পার্থর ভাতের বায়না, সামলালেন ‘ম্যাডাম অর্পিতা’

কলকাতা: চেহারা তাঁর বেশ ভারী। সঙ্গে রয়েছে নানা রকম রোগও। ডায়াবেটিসও রয়েছে ১৫ বছর ধরে। হেভিওয়েট ধৃতকে সুস্থ রাখতেই হবে। ঠিক সে কারণে, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে থাকছে রুটি, সবজি, ফল।

কিন্তু ‘পার্থদা’-র বায়না ভাত খাবেন। তা নিয়েই ঝক্কি।কারণ, ডায়াবেটিসের রুগির ভাত খাওয়াটা ঠিক নয়। খেলেও বড্ড মেপে। তাই কিছুতেই ভাত দিতে চাইছেন না ইডি অফিসারেরা। ইডি সূত্রে খবর, এই নিয়ে বেশ সমস্যা হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী জেদ ধরে বসেন, ভাত না দিলে কোনও প্রশ্নের জবাব দেবেন না। অফিসারেরা অনেক বোঝান। কিছুতেই কাজ না হওয়ায় শেষে ডাক পড়ে অর্পিতার।

সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সবটা বলতেই তিনি উদ্বিগ্ন হন একটু। অনিয়ম করলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন ‘পার্থ দা’ (এই নামেই ডাকছেন অর্পিতা)! রাজি হলেন পার্থকে বোঝাতে। ভাত খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে, কিছুটা ধমকের সুরেই বললেন ‘ম্যাডাম’। আর তাতেই কাজ হল। অফিসারদের কথা না শুনলেও, ‘ম্যাডামে’র কথা ফেলতে পারলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভাতই খেলেন তবে অল্প।

এমন কী বললেন অর্পিতা, যাতে রাজি হয়ে গেলেন পার্থ? সূত্রের খবর, অর্পিতা ধমক দিয়ে বুঝিয়েছেন, অসুস্থ হয়ে পড়লে আইনি লড়াই লড়বেন কী ভাবে? শুক্রবার সকালেও ইডি অফিসারদের কথা মেনেই খাবার খেয়েছেন তিনি।

আসলে ভুবনেশ্বর এইমসে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন চিকিৎসকেরা মেডিক্যাল রিপোর্টে জানান, ১৫ বছর ধরে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে পার্থর। চার পাতার মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়, বেশি ভাত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে পার্থর জন্য। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খেতে হবে ফল আর প্রচুর তরল। সেখানেও রুটি, ফল না খাওয়ার বায়না করেছিলেন তিনি, চেয়েছিলেন ভাত। বলেছিলেন, ভাত না খেলে তাঁর ভাল লাগে না। সে দিনের মতো তাঁর বায়না শোনা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মেপে ভাত খেতে হবে। সে কথাই মেনে চলছেন অফিসারেরা। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর পার্থ ও অর্পিতা দুজনেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে জোকা ইএসআই-তে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 4 =