কলকাতা:শহর, শহরতলি জুড়ে একাধিক ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, বাড়ি! পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার প্রায় ৫০ কোটি নগদ, সঙ্গে সোনা-গয়না, বৈদেশিক মুদ্রা মিলিয়ে কয়েক কোটির জিনিস।
তদন্তকারী থেকে আম-আদমি। কৌতূহল সকলেরই আর কোথায় মিলবে ‘কুবেরের ধন’!গত শনিবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসন ডায়মন্ড সিটি সাউথ থেকে। ইডি হেপাজতেই রয়েছেন অর্পিতা। এবার সামনে এল চাঞ্ল্যকর তথ্য। ওই আবাসন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। আবাসনে মোট ৫টি গাড়ি রাখা থাকত অর্পিতার। তার মধ্যে এখন একটি গাড়ি রয়েছে। বাকিগুলি নেই।ইডি সূত্রে জানা গিয়েছ, চারটি গাড়ির মধ্যে একটি হল অডি এ৪, দ্বিতীয় হন্ডা সিটি, তৃতীয়টি হন্ডা সিআরভি ও আর একটি হল মার্সিডিজ বেনজ। সূত্রের খবর, অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করার পরই রাতারাতি ওই আবাসন থেকে চারটি গাড়ি উধাও হয়ে গিয়েছে। আধিকারিকদের সন্দেহ, ওই গাড়িতেও টাকা রাখা থাকতে পারে। সেই কারণেই হয়ত কেউ গাড়িগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারা ওই গাড়ি নিয়ে গেল সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। গাড়িগুলির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে,ওই দিন টাকা উদ্ধারের পর অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাঁর একটি সাদা রঙের মার্সিডিজ় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেটি বাদে বাকি গাড়িগুলি এখন আর নেই। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ওই চারটি গাড়ির মধ্যে দু’টি গাড়ি অর্পিতা নিজে ব্যবহার করতেন আর বাকিগুলি কোনও সংস্থার জন্য খাটানো হত। গাড়িগুলির চালকদেরও খোঁজ চলছে। যে ভাবে পরপর অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে কোনও সূত্রই ছেড়ে দিচ্ছে না ইডি। আর কোথায় কোথায় নগদ টাকা লুকনো আছে? তা জানতে মরিয়া আধিকারিকরা। অর্পিতাকে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তাই এই টাকা আর সম্পত্তির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।