আসানসোল: স্থানীয় এক মহিলাকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল দোষীর। বৃহস্পতিবার এই সাজা ঘোষণা করেন আসানসোল জেলা আদালতের জেলা ও সেশন জজ সুনির্মল দত্ত। সাজাপ্রাপ্তের নাম হপনা মাজি। তার বাড়ি আসানসোল কুলটি থানার নিয়ামতপুর এলাকায়। এদিন বিচারক দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে সাজার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়বে বলে বিচারক নির্দেশ দেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী (পিপি) বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর কুলটি থানার নিয়ামতপুরের টহরম ৪ নম্বর এলাকার বাসিন্দা হপনা মাজি প্রতিবেশী মহিলা লীলা দেবীকে তার মোটরসাইকেল করে নিয়ে যায়। তারপর সেই রাতে তারা কেউ বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন ৯ অক্টোবর সকালে নিয়ামতপুরে একটি পেট্রোল পাম্প লাগোয়া এলাকা থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পরে জানা যায়, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। সেদিনই মহিলার ছেলে টিঙ্কু ভুঁইয়া কুলটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে হপনা মাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে যে, হপনা মাজির সঙ্গে ওই মহিলার বহুদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার পরে মামলা চলাকালীন দেড় বছর আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ছিল হপনা মাজি। পরবর্তী কালে সে জামিন পায়। আদালতে মামলা চলাকালীন এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী দেয়। তবে ছেলে টিঙ্কু ভুঁইয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও, পরবর্তী কালে শুনানির সময় সহযোগিতা করছিল না। মৃত মহিলার মেয়ে বেবী ভুঁইয়া মামলা চলতে খুবই সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত সব সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার জেলা ও সেশন জজ সুনির্মল দত্ত হপনা মাজিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হেপাজতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।