মালদায় সিল্ক পার্কের উদ্বোধন আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবার সেই সিল্ক পার্ক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে চলেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়ার উপস্থিতিতে সিল্ক পার্কের নানান পরিকাঠামো গত ব্যবস্থা এবং দ্রুত চালু করার বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার সিল্ক পার্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মনোজ জৈন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা রেশম বিভাগের পদস্থ কর্তারা। উল্লেখ্য, ইংরেজবাজার ব্লকের মধুঘাট এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই কয়েকশো বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে সিল্ক পার্কটি। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তিগত উপায়ে রেশন থেকে সুতো তৈরি করার পাশাপাশি সেগুলিকে রঙিন আকার দেওয়া হবে। সুতো প্যাকেটজাত করা হবে। এমনকি এই সিল্ক পার্কে পোশাক তৈরির প্রস্তুতি কারখানার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। কোনো বেসরকারি সংস্থা যদি সিল্ক পার্কের মধ্যেই প্লট হিসাবে জায়গা নিতে চায়, প্রশাসন সেই সব সংস্থাকে চুক্তিভিত্তিকে জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এমনকি গড়ে তোলা হয়েছে ৫০টি স্টল। যেখানে রেশন থেকে তৈরি সুতো, পোশাক বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। সামান্য টাকায় নিজে দেওয়া হবে স্টলগুলি বলেও প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও বাড়বে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত মালদার নারায়ণপুর সিল্ক পার্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার খুব ভালো উদ্যোগ নিয়ে মালদায় সিল্ক পার্কের গড়ে তোলার ব্যবস্থা করেছে। মালদার কালিয়াচকের বিপুল পরিমাণ রেশম গুটি উৎপাদন হয়। সেই রেশম গুটি সিল্ক পার্কের মাধ্যমে নানান ধরনের সুতোর প্রক্রিয়াকরণের কাজ হবে। পাশাপাশি একযোগেই সেখান থেকে স্টলের মাধ্যমে সুতো বিক্রি আবার টেক্সটাইলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এদিন মালদার মধুঘাটের সিল্ক পার্ক চালু করা বিষয় নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে একটি আলোচনা হয়েছে। বিকেলে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সিল্ক পার্কের সমস্ত কাজ চালু হয়ে যাবে। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, সিল্ক পার্কের সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবস্থা ইতিমধ্যে তদারকি করে দেখা হয়েছে। ওই সিল্ক পার্কের ৫০ টি স্টল তৈরি হয়েছে এবং প্লট হিসাবে জায়গা ভাড়া দেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।