ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সুখবর। এবার আর অরুণাচল প্রদেশ যেতে বিশেষ কাঠখড় পোড়াতে হবে না। পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনায় ঘেরা অপূর্ব সুন্দর এই রাজ্যে সহজেই পৌঁছনো যাবে আকাশপথে।
ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে পরীক্ষামূলক বিমানচালনা। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসেই খুলতে চলেছে অরুণাচল প্রদেশের হলঙ্গি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর।আকাশপথে অরুণাচল প্রদেশকে জুড়তে এই বিমানবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতদিন সেখানে ছোটখাটো দু-একটা বিমানবন্দর, এয়ার ফিল্ড থাকলেও সেখানে বিমান চলাচল অত্যন্ত কম। তাছাড়া সেটাও ছিল মূলত জিনিসপত্র পরিবহণ, মিলিটারিদের জন্য রাজ্যের ভেতর বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে।উড়ানের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা।
তাই পর্যটকদের অরুণাচল প্রদেশ আসতে গেলে এতদিন ব্যবহার করতে হবে অসমের বিমানবন্দর।রাজধানী ইটানগর থেকে হলঙ্গির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এত দিন ইটানগরের নিকটতম বিমানবন্দর ছিল ৮০ কিলোমিটার দূরের অসমের লীলাবাড়ি বিমানবন্দর।ফলে, এই হলঙ্গি বিমানবন্দর চালু হলে অরুণাচল প্রদেশে পর্যটনের প্রসার হবে, মনে করছেন সকলেই।এতদিন দেশের দূরবর্তী প্রান্ত থেকে অরুণাচল প্রদেশে পৌঁছনো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বিষয় ছিল। একাধিক বার পরিবর্তন করতে হতো যানবাহন। সেই সমস্যাই এবার মিটতে চলেছে।
বর্তমানে, আকাশপথে অরুণাচলে ঢুকতে হলে বা অরুণাচল থেকে যাত্রা শুরু করতে হলে ভরসা করতে হয় প্রতিবেশী রাজ্য অসমের উত্তর লখিমপুর জেলার লীলাবাড়ি এয়ারপোর্টটির উপর। অথবা যেতে হয় লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।হলঙ্গি এয়ারপোর্ট চালু হলে, পর্যটকদের আর এয়ারপোর্টে নেমে ফের বাস বা গাড়ি ধরে লম্বা জার্নির ধকল নিতে হবে না। বিমানবন্দর থেকে আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটেই পৌঁছনো যাবে ইটানগরে। একইসঙ্গে বিমান পরিষেবার সুফল অরুণাচলপ্রদেশের বাসিন্দারাও ভোগ করবেন। চিকিত্সা হোক বা ব্যবসা অন্য রাজ্যে যাওয়াটা তাঁদের পক্ষেও সহজ হবে।
গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টে যাত্রীবান্ধব সবধরনের আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। চরম ব্যস্ততম মুহূর্তেও ২০০ যাত্রীকে পরিষেবা প্রদান করতে পারবে এয়ারপোর্টটি। সবমিলিয়ে ৮টি চেক-ইন কাউন্টার থাকছে এয়ারপোর্টে। থাকছে ২৩০০ মিটার রানওয়ে যা বোয়িং ৭৪৭ এয়ারক্র্যাফ্টের টেক অফ এবং ল্যান্ডিং-এর জন্য যথেষ্ট।