আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর পুনরায় জামিন নাকচ করল সিবিআই আদালত। শুক্রবার সায়গল হোসেনকে আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৫ অগস্ট ফের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। এদিন শুনানির শুরুতেই দেখা যায় আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসারও ছিলেন না এবং কেস ডায়েরিও জমা পড়েনি। এই বিষয়ে সাইগলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আইনজীবী কোনও কাজে ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার ও কেস ডাইরি এখানে থাকা উচিত ছিল। গত তিনদিনে এই মামলায় নতুন করে কোনও কিছু তদন্তে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন গত তিনদিন আগে তারা এই মামলায় সাইগলের যে ফ্ল্যাট ও ব্যাংকের ড্রাফট পেয়েছে বলে দেখিয়েছিল তা সঠিক নয়। প্রমাণ হিসেবে তিনি গত ৫ জুলাইয়ের তথ্য দিয়ে দেখান এই ব্যাংক ড্রাফট এবং ফ্ল্যাটটি তখনও অন্য মোড়কে দেখানো হয়েছিল অর্থাৎ কুমির ছানার মতো একই জিনিস বারবার দেখানো হচ্ছে। এইভাবে জামিন আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
বিচারক এই বক্তব্য শোনার পর মোবাইল ফোনে সরকারি আইনজীবী রাকেশ কুমারকে ধরেন। সায়গলের আইনজীবীর অভিযোগ সম্পর্কে সিবিআইয়ের মতামত জানতে চান। উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে নতুন কিছু তদন্তে উঠে না এলেও যেহেতু প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাই জামিন আবেদনের বিরোধিতা করছি।’ এরপরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করেন ও ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে সায়গল হোসেনের জামিনের শুনানি হয়েছিল ১৯ জুলাই। তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সায়গল হোসেনের জেল হেপাজতে থাকার মেয়াদ ৪০ দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে।