গ্রামে একাধিক ট্যাপ কল আছে। কিন্তু পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। তীব্র দাবদহের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ট্যাপ কলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল না পেয়ে দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে উঠেছে সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহের কথা বারবার বলা হলেও এখনো পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এবং প্রশাসন। যার ফলে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন কয়েকশো পরিবার। পাশাপাশি পানীয় জলের অভাবে সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়াতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, কালিয়াচক ১ ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রামের ৮ টি মৌজার প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের। বাখরপুর গ্রামে ১৪ লক্ষ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ ১৯৮৪ শুরু হয়। ১৯৮৮ সালে জল সরবরাহ চালু হয়। কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই এই প্রকল্প থেকে পানীয় জল সরবরাহ অনিয়মিত বলে অভিযোগ। সুজাপুর, বামনগ্রান, মোসিমপুর এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষ পানীয় জলের জন্য এই আর্সেনিকমুক্ত প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল। প্রায় তিন মাস ধরে অনিয়মিত আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে বলে অভিযোগ। সুজাপুর গ্রামের একাংশ বাসিন্দাদের অভিযোগ, তীব্র দাবদহে নাজেহাল অবস্থা সকলের। পরপর দুটি ঈদ উৎসব পালিত হল কিন্তু তার আগে থেকেই আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের জন্য গোটা এলাকার মানুষ হাহাকার করেছে। তবুও কোনো হেলদোল দেখা যায়নি প্রশাসনের। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। সকলের দাবি, সমস্যা মেটানোর দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের কাছে বহুবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাই চাইছেন, অবিলম্বে এই প্রকল্পে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা হোক। সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আরিফ আলি জানিয়েছেন, বিষয়টি তার নজরে রয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এলাকার পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান।