জমি বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

জমি বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তার ছেলে। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মালদা জেলার গাজোল থানার কমলডাঙা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম জিতেন মণ্ডল (৫৩)। জখম ছেলের নাম উজ্জ্বল মণ্ডল (৩০)। অভিযুক্তরা হলেন পঙ্কজ মণ্ডল, বিবেক মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সহদেব মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন। অভিযুক্তদের বাড়ি গাজোল থানার জালসা এলাকায়। পরিবার সদস্যরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো জিতেন মণ্ডল ও তার ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডল বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গাজলে জলসা এলাকায় জমিতে কাজ করতে যায়। জমিতে স্প্রে করার সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে বিবাদ বাদে। সেই সময় জিতেন মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করা হয়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন জিতেন বাবু। ঘটনাস্থলে সেই সময় তার ছেলে বাধা দিতে গেলে তাকেও বেধরক মারধর করা হয়। তড়িঘড়ি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য দুইজনকে। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকরা জিতেন মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আহত ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলের চিকিৎসাধীন রয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবার সহ গোটা গ্রামে।
অন্যদিকে রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোল থানার একলাখী এলাকায়। এলাকাবাসীর অনুমান পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার ধারালো অস্ত্র। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ঘটনাস্থলে গাজোল থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি ও জেলা পুলিশ আধিকারিক। কি কারণে খুন তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই গৃহবধূর বোন বিগত দুই বছর ধরে তার সঙ্গেই ছিল। দিন আটেক আগে বাড়ি ফিরে যায়। গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার স্বামীকে। এই ঘোষণায় থমথমে হয়ে রয়েছে পুরো একলাখী স্টেশন সংলগ্ন এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 16 =