দিন পনেরো বিকল রয়েছে দুর্গাপুর বীরভানপুর শ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লি। বর্ষার সময় বৈদ্যুতিন চুল্লি বিকল হওয়ায় দেহ সৎকারের কাজ কাঠ দিয়ে সাড়তে বাধ্য হচ্ছেন পরিজনরা। বৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শবদেহবাহী পরিজনরা। হেলদোল নেই কারোর। অবশ্য চমকে যাওয়ার বিষয়, বৃহস্পতিবার ভারতীয় যুব মোর্চার তরফ থেকে দুর্গাপুর বীরভানপুর শ্মশানে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরই হঠাৎ করেই একটি বৈদ্যুতিন চুল্লি চালু হয়ে যায় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। এমনই জানালেন ভারতীয় যুব মোর্চা আসানসোল জেলা কমিটির সহ সভাপতি তরুণ দাস। তিনি জানান, ভারতীয় যুব মোর্চার তরফ থেকে এদিন দুর্গাপুর শ্মশানে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কিছুক্ষণ পরই একটি বৈদ্যুতিন চুল্লি চালু করে দেওয়া হয়। কেমন যেন ভূতুরে ব্যাপারের সাক্ষী হলাম। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘মৃত্যুর পরও শান্তি নেই দুর্গাপুরের মানুষদের এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানে দু’টি বৈদ্যুতিন চুল্লি শুরু করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গত তিন-চার বছর ধরে কখনও দু’টি চুল্লি কখনও বা একটি চুল্লি বিকল থাকে প্রায়শই। এরপরই আন্দোলন শুরু হয়। তারপর, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর থেকে একমাস বৈদ্যুতিন চুল্লি দুটি বন্ধ রেখে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে দু’টি চুল্লির সংস্কারের কাজ করা হয়। তারপরও মাঝে মধ্যেই দুটি চুল্লির মধ্যে কোনও একটি বিকল হয়ে পড়ে। বর্তমানে বর্ষার সময় বেশ কয়েকদিন আবার বিকল হয়ে পরে দু’টি চুল্লিই। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শবদেহবাহীর পরিজনেরা। তাই, বৃহস্পতিবার পুরনো দু’টির আমূল সংস্কার এবং নতুন ক্রেমেটরিয়াম (বৈদ্যুতিন চুল্লি) গড়ে তোলার দাবিতে ভারতীয় জনতা পার্টি যুব মোর্চার ডাকে প্রতিকি প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানে। বিজেপির জেলা মুখপাত্র জানান, ‘সাংসদ তহবিল থেকে ৪৩ লক্ষ টাকা নতুন বৈদ্যুতিন চুল্লির জন্য দেওয়ার কথা বলেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। সাংসদ এই মর্মে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক-কে চিঠি করছেন। দুর্গাপুর নগর নিগম সেই টাকার সঠিক ব্যাবহার করে নতুন বৈদ্যুতিন চুল্লি তৈরি করুক, যাতে দুর্গাপুর সহ আশপাশের এলাকার মানুষদের সুবিধে হয়’। এদিন, ভারতীয় যুব মোর্চা আসানসোল জেলা কমিটির তরফ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সন্তোষ মুখোপাধ্যায়, সহ সভাপতি তরুণ দাস, সম্পাদক রাজেশ সিং সহ যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা।