এ যেন এক হিন্দি সিনেমার গল্প। ফেসবুকে নাবালিকার সঙ্গে ছেলে সেজে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক যুবতীর। প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায় পুরাতন মালদার থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনির মাধ্যমিক পড়ুয়া এক নাবালিকা। দীর্ঘদিন কথোপকথন চলে ফেসবুকের মাধ্যমে। অবশেষে দুজনের একে অপরকে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ ঘটে। আর তারপরেই সামনে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। ওই নাবালিকা জানতে পারে যার সঙ্গে প্রেমের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর সে একজন পুরুষ নয়, অষ্টাদশী মহিলা। আর এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবার ওই যুবতীকে বিমল দাস কলোনি এলাকায় ধরে ফেলে ওই নাবালিকার পরিবার। এরপর আশেপাশের লোকজন এসে পুরো ঘটনার কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামের একটি দোকানের সামনে খুঁটিতে বেঁধে ওই যুবতীকে চড় থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ।
পরে এই ঘটনার খবর জানতে পেরে তদন্তে আসে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবতীকে আটক করে নিয়ে যায় পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। পুরো বিষয়টি জানতে পেরে রীতিমতো হতবাক হয়ে যায় তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার থানার অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলী এলাকার বাসিন্দা অষ্টাদশী ওই যুবতী। সমকামিতার মনোভাব থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে সাহাপুরের ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। কিন্তু ফেসবুকে ছেলের পরিচয় দিয়েই সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনির ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে ওই যুবতী। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই যে অভিযুক্ত আসলে মেয়ে না ছেলে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে কথা বলেই ওই যুবতী স্বীকার করে তিনি একজন মহিলা। তাতেই হতবাক হয়ে যায় পুলিশ।
অভিযোগকারী ওই নাবালিকার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের প্রকৃত বাড়ি হবিবপুর থানার এলাকায়। কিছুদিন আগেই ওই নাবালিকা সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনী এলাকার মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। এরই সুবাদে অমৃতি থেকে ওই যুবতী তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সাহাপুরে আসে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন ধরে ফেলে। প্রথমে ছেলেধরা এবং নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে মারধর শুরু হয়। কিন্তু আসল ঘটনা সামনে আসতেই হতবাক হয়ে যায় সকলেই।