বিতর্কের মধ্যেই কালীস্তুতি প্রধানমন্ত্রীর

হঠাৎ দেশজুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন স্বয়ং মা কালী (Goddess Kali)। বঙ্গ এবং জাতীয় রাজনীতির অন্যতম ইস্যুই হয়ে দাঁড়িয়েছে মা কালীকে নিয়ে করা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার বাংলার এক অনুষ্ঠানে ‘কালী কথা’ শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিতর্কের কথা বিন্দুমাত্র উল্লেখ না করেও মোদি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এবং গোটা দেশ কালী ভক্তিতে সমর্পিত।

রামকৃষ্ণ (Ramakrishna Paramahamsa) মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই অনুষ্ঠানেই মোদির মুখে শোনা যায় মা কালীর মাহাত্ম্য। গোটা ভাষণে কালী বিতর্কের কথা একবারও উল্লেখ করেননি মোদি। কিন্তু মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) মন্তব্য নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে যেভাবে তিনি বাংলার এক অনুষ্ঠানে কালীকথা শুনিয়ে গেলেন, সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর মোদি নিজে বিতর্কের প্রসঙ্গ না তুললেও তাঁর এই বক্তব্য টুইট করে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তাঁর দাবি, তৃণমূল (TMC) যেখানে মা কালীকে অপমান করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মা কালীর প্রতি গোটা দেশের ভক্তির কথা তুলে ধরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মা কালীকে স্পষ্ট দেখেছিলেন। মা কালীর চরণে নিজের সর্বস্ব সমর্পণ করেছেন। তিনি বলতেন, এই গোটা ভুবন, চরাচরেই ব্যপ্ত মায়ের চেতনা। এই চেতনাই বাংলার কালীপুজোয় দেখা যায়। এই চেতনাই গোটা ভারতের বিশ্বাসে দেখা যায়।’ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মা কালীর এই চেতনাই স্বামী বিবেকানন্দকে (Swami Vivekananda) বিশ্বমানব গড়ে তোলার রসদ জুগিয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘কালী চেতনাতেই স্বামী বিবেকানন্দকে প্রদীপ্ত করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। এই চেতনাই স্বামী বিবেকানন্দকে পরম শক্তিশালী চরিত্র হিসাবে গড়ে তুলেছে। স্বামী আত্মস্থানন্দের ভিতরেও এই শক্তি আমি দেখেছি। ভক্তির নিশ্চলতা এবং শক্তি সাধনার সামর্থ্য দেখেছি। তাঁর কথার মধ্যেও মা কালীর প্রসঙ্গ উঠেই আসত। বিশ্বাস যখন পবিত্র হয়, আদ্যাশক্তি নিজেই আমাদের পথ প্রদর্শন করেন। মা কালীর আশীর্বাদ সবসময় ভারতের সঙ্গে আছে। এই আধ্যাত্মিক শক্তিই আজ ভারতকে বিশ্বকল্যাণের ভাবনায় শক্তি যোগাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =