জেলা শাসকের উদ্যোগেই বাড়িতে বসেই প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র পাবেন প্রতিবন্ধীরা

রাজ্য এই প্রথম মালদায় দুয়ারে প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র নিয়ে হাজির হলেন প্রশাসনের কর্তারা। এমন প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ মানুষ যারা রয়েছেন, রীতিমতো যারা চলাচলের ক্ষেত্রে অক্ষম। মূলত সেইসব প্রতিবন্ধীদের বাছাই করেই তাদের বাড়ি বাড়ি সরকারি শংসাপত্র পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। গত ৬ জুলাই থেকে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে মালদায়। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়ার উদ্যোগেই মূলত এই প্রথম প্রতিবন্ধী মানুষেরা নির্দিষ্ট আবেদনের পর বাড়িতে বসেই প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র পেতে শুরু করেছেন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন মহল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করার পরেই সেইসব আবেদনকারীর বাড়িতেই বসছে মেডিক্যাল বোর্ড। যেখানে থাকছে স্বাস্থ্যকর্তা থেকে প্রশাসনেরও পদস্থ কর্তারা। সবদিক বিচার বিবেচনা করে হাতে হাতেই প্রতিবন্ধী সেই ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হচ্ছে শংসাপত্রের কাগজ। এই কর্মসূচির পিছনে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পুরাতন মালদা এলাকায় চলাচলে অযোগ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সুনীল কুমার দাস বাড়িতে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর তার প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট তুলে দেন সমাজ কল্যাণ আধিকারিক আলপনা দাস।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, গত ৬ জুলাই থেকে দুয়ারে প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালে এই ধরনের মেডিক্যাল বোর্ড বসে প্রতিবন্ধীদের সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০৫ জনকে এভাবেই দুয়ারে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এই শংসাপত্র পাওয়ার পর প্রতিবন্ধী মানুষেরা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =