কলকাতা: চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জেলায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তাঁদের অনেকেরই দাবি ছিল, ফেল করার মতো পরীক্ষা না দিলেও, ফেল করানো হয়েছে তাঁদের। বহু বিষয়ে নম্বর নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ছিল। দাবি করেছিলেন তাঁরা পাশ করানোর।
এরপরই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশিকা জারি করে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের সমস্ত বিষয়ের খাতা রিভিউ ও স্ক্রুটিনির আবেদন করা যাবে। অন্য বছর সর্বোচ্চ দুটি খাতা রিভিউ-এর অনুমতি দেওয়া হয়। সূত্র বলছে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তের পর এ বছর রেকর্ড সংখ্যক রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছে। রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৮৫ হাজার ২২৪টি। আর স্ক্রটিনির জন্য ৮৩৬১টি আবেদন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৯৩ হাজার ৫৮৫টি আবেদন এসেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। মোট ৫১ হাজার ৫১৯ জন পরীক্ষার্থী এই আবেদন জানিয়েছেন। যেখানে ২০১৯ সালে রিভিউয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৮১৮টি।
করোনার জেরে অফ লাইন পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর এ বছর হোম সেন্টারে পরীক্ষা হয়েছিল। ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২ জন পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার ৪৪ দিনের মাথায় ১০ জুন ফল প্রকাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পাশের হার ৮৮.৪ শতাংশ। ফল ঘোষণা পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অকৃতকার্যরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেউ অভিযোগ করেন, খাতা ঠিকমতো দেখা হয়নি। কারও দাবি, তাঁরা ফেল করতে পারেন না। সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষার্থীরা ২০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত খাতা রিভিউ ও স্ক্রটিনির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তারপরেই দেখা গিয়েছে, ৯৩ হাজার ৫৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে।এ বছরের আগে ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ পরীক্ষা হয়েছিল। ওই বছর রিভিউয়ের আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ৮১৮টি।