মালদা: মালদার একটি নার্সিংহোমে আচমকায় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনের কর্তারা অভিযান চালাল। আর সেই নার্সিংহোম থেকেই উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। যাকে ঘিরে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় মালদা শহরের গাবগাছি এলাকায় অবস্থিত ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।
বুধবার বিকেলে ইংরেজবাজার থানার যদুপুরে ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাবগাছি এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি নার্সিংহোমে অভিযান চালায় ডেপুটি সিএমওএইচ -১ ডা: মৌসুমী পাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ, জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের ইন্সপেক্টর আধুল অডুড সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। আচমকাই ওই নার্সিংহোমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়া অন্যান্য বিষয় সঠিকভাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুসারে চালানো হচ্ছে কিনা তা খুঁজে দেখা হয়। ওই নার্সিংহোমে তদারকি চালানোর সময় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনের কর্তাদের নজরে আছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়টি।
ওই নার্সিংহোমের মধ্যে রয়েছে একটি ওষুধের ডিসপেন্সারি। যেখান থেকেই রোগীদের জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর সেই নার্সিংহোমের ওই ওষুধের দোকানেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার হওয়ায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
নার্সিংহোমে তদন্তকারী ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসার আধুল আডুড জানিয়েছেন, গাবগাছি এলাকার ইডেন নামক একটি নার্সিংহোমে এদিন অভিযান চালানো হয়। সেই নার্সিংহোমের ভেতরে থাকা একটি ওষুধের দোকান থেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ওষুধে রাখতে পারে না। সমস্ত রকম দিক খতিয়ে দেখে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এবিষয়ে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনওরকম মন্তব্য করেনি।