পেশায় শিক্ষক, অথচ বাড়িতেই বেআইনিভাবে চলছে ২০ লিটারের জারবন্দি পরিশ্রুত জলের কারখানা। সেই জারবন্দি জল নির্দিষ্ট টাকায় মালদা শহরের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু সেই জলের গুণগতমান যাচাই করবে কে! এরকমই একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি জলের কারখানা চালানোর হদিস পেয়েছে জেলা ফুড সেফটি দপ্তরের কর্তারা। বেআইনি এই কাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং নির্দিষ্ট ধারায় জরিমানা করেছে ফুড সেফটি দপ্তর। বুধবার সকাল থেকে সারাদিন ধরে মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় জেলা ফুড সেফটি দপ্তরের কর্তারা । এদিন প্রায় সাতটি বেআইনি জলের কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে তদন্তকারী অফিসারেরা। কিন্তু মালদা শহরের অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো যেভাবে বাড়ির মধ্যেই ২০ লিটারের জারবন্দি বেআইনি জলের কারখানা গড়ে উঠেছে, তা দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন অভিযানকারী প্রশাসনের কর্তারা। এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ফুড সেফটি আধিকারিকেরা।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরেও মালদা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেদার চলছিল নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০ লিটারের জারবন্দি পানীয় জল সরবরাহের কাজ। অবশেষে সেই সব জারবন্দি পানীয় জলের বেআইনি কারবার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে শিল করে দেওয়া হল।
বলাবাহুল্য, রীতিমতো বাড়ির ট্যাংকে মজুত থাকা জল ট্যাপকলের মাধ্যমে জারবন্দি করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বারবার সতর্কবার্তার পরেও প্রশাসনের নির্দেশ না মানায় অবশেষে কয়েকটি বেআইনি জারবন্দি জলের কারখানা শিল করে দেওয়া হয়।
এদিন অভিযানকারী ফুড সেফটি দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মালদা শহরের গান্ধি পার্ক এলাকার জৈনক এক শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ দাস নিজের বাড়িতে বেআইনিভাবে জলের কারখানা চালাচ্ছিলেন। ঠিক একইভাবে মালদা শহরের ঘোড়াপীর, মালঞ্চপল্লী সহ আরো বেশ কিছু এলাকায় বাড়িতেই চলছে জারবন্দি জলের কারবার। এইসব কারখানা চালানোর ক্ষেত্রে বৈধ কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি অধিকাংশ কারবারিরা। তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা ফুড সেফটি আধিকারিক প্রশান্ত কুমার বৈদিক জানিয়েছেন, বেআইনি যে সব জলের কারখানাগুলো চলছিল সেগুলি শিল করার পাশাপাশি তাদেরকে আইনি নোটিস ধরানো হয়েছে।