কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার যে পরিস্থিতি হয়েছিল, মনে করা হচ্ছে সেই পথেই কি হাঁটছে পাকিস্তান (Pakistan)। ক্রমশই আর্থিক সংকটে ডুবছে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে এবার দেশজুড়ে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধের মুখে। তেমনই আশঙ্কা সেদেশের জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বোর্ডের (NITB)। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) দেশবাসীকে জানিয়েছেন, জুলাই থেকে দৈনিক বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধের পরিমাণ আরও বাড়বে!
টুইটারে বিবৃতি দিয়ে এনআইটিবি জানিয়েছে, ‘দীর্ঘ সময় দেশে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। তাই এই পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে টেলিকম অপারেটরগুলি।’ এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, জুলাইয়ে দেশে লোডশেডিং আরও বাড়বে।
কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পাক সরকার বিদ্যুৎ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাচ্ছে না।’ পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল বলেন, কাতার থেকে আগামী পাঁচ বা ১০ বছরের জন্য এলএনজি কেনার চুক্তির চেষ্টা চলছে। জুলাইয়ে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত ছ’ বছরে সর্বাধিক। তার মধ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। সে কারণে বিদ্যুতের চাহিদা তুঙ্গে। সেই চাহিদা মেটানোর জন্য করাচি-সহ বেশ কিছু শহরে কারখানা, সরকারি দপ্তর থেকে শপিং মল সময়ের আগে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পাক সরকার।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে।