কলকাতা: সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন মহিলা। দুপুরে মাকে ডাকতে গিয়ে রক্তমাখা চুরি দেখে ভয়ে পেয়ে গিয়েছিল মেয়ে। বিকালে মাঠ থেকে উদ্ধার হল মহিলার হাত-পা বাঁধা অর্ধনগ্ন দেহ। শরীরে আঘাতের চিহ্ন। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। স্থানীয়দের অনুমান মহিলাকে গণ ধর্ষণ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দিনে দুপুরে এমন ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এই ঘটনা উসকে দিয়েছে একসময়ের কামদুনি কাণ্ডের স্মৃতি।যা নিয়ে এক সময় রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল।
রাজারহাটের পাথরঘাটা পঞ্চায়েত এলাকার মাঠ থেকে ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে ছ্যাঁকার দাগও রয়েছে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহটি বাঁশবাগানে পড়ে ছিল। মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা মহিলার সারা শরীরে ক্ষতের দাগ। শরীরের নানা জায়গায় ছ্য়াঁকার দাগও রয়েছে। দেহটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাঁশবাগানে পড়ে ছিল।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খাবার জন্য বাড়ি ফেরেননি। মাকে না আসায় মেয়ে মাঠের দিকে খোঁজ করতে গিয়ে য়ের হাতের ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা খুঁজে পায়। কিছু যে ঘটেছে বুঝেই বাড়ি ফিরে আসে সে। গ্রামবাসীরা জানান, মেয়ের মুখে খবর শুনে তাঁরা মাঠের দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কাছের বাঁশবাগান থেকে দেহটি মেলে।
পরিবার সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালেও মহিলা মাঠে গিয়েছিলেন চাষের কাজে। সেই সময়ে তাঁর কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মেয়ে। কিন্তু মহিলা দুপুরে বাড়িতে খেতে না আসায় খোঁজ শুরু হয়।
মৃতার পুত্রবধূ জানান, সকালে শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর ননদও মাঠে গিয়েছিলেন। ননদ তখন শাশুড়িকে পান্তাভাত দিয়ে এসেছিল। কথা ছিল, দুপুরে উনি বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করবেন। অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও শাশুড়ি না ফেরায় ফের ননদ মাঠে গিয়ে ওঁর খোঁজ করে।
পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম বিশ্বাস বলেন, ‘মনে হচ্ছে ধর্ষণ করা হয়েছ। পুলিশকে বলা হয়েছে, যে ভাবে হোক অপরাধীদের খুঁজে বার করতে হবে। আমাদের গ্রাম কিংবা এই চত্বরে এমন ঘটনা এই প্রথম।’ এলাকাবাসীদের ধারণা, এটা শুধু ধর্ষণ নয়, গণ ধর্ষণ হতে পারে। নিজের এলাকায় দিনে দুপুরে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে, নিরাপত্তা কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।