দীর্ঘ গরমের ছুটির পর সোমবার থেকে খুলছে রাজ্যের সরকারি ও সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল। কোভিড আবারও বাড়ছে রাজ্যে। তাই স্কুলে করোনা বিধি মানার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্কুল ভবন স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার, করোনা বিধি পালনের উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হস্টেল খোলা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নিয়ম মেনে স্কুলে ক্লাস হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য প্রত্যেক জেলার একজন অতিরিক্ত জেলা শাসককে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় এব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে। আপাতত পুরোদমেই স্কুল চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। করোনা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ আলোচনায় বসবেন শিক্ষামন্ত্রী। বর্ষার সময় ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়বে। কাজেই স্কুলগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। স্কুল এবং স্কুল চত্বরের কোথাও যাতে জমা জল না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাটিতে যাতে শ্যাঁওলা না জমে থাকে সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। মিড ডে মিল নিয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এই সময়ে। রান্নার জায়গা, বাসনপত্র পরিচ্ছন্ন হতে হবে। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
ওপরের গাইডলাইনগুলি ছাড়াও পড়ুয়া, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের সুরক্ষার দিকে খেয়াল রেখে নিয়মবিধি চালু করতে হবে স্কুলগুলিকে।