গুজরাত দাঙ্গা মামলায় মোদিকে ক্লিনচিট সুপ্রিম কোর্টের

গুজরাত দাঙ্গা (Gujarat Riots) মামলায় অস্বস্তি কাটল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত করার আরজি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়াত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) করা মামলাটি যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলেই মত শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের।

২০০২ গুজরাত দাঙ্গা মামলার পিছনে মূল খলনায়ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকী তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দাঙ্গা রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে বিস্তর তদন্তও হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচিত বিশেষ তদন্তকারী দল (স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম) মোদি-সহ গুজরাতের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে তাঁদের ক্লিনচিট দিয়ে দেয়। ততদিনে অবশ্য মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা আবারও তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন।

বেশ কিছুদিন ধরে মামলাটির শুনানি চলছিল। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, জাকিয়া জাফরির করা মামলা কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই।

মামলার শুনানি চলাকালীন সিটের তরফে জানানো হয়েছিল যে, বর্তমানে এই পিটিশন ছাড়া কেউই ২০০২ সালের ওই দাঙ্গার তদন্তের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। সিটের তরফে হাজির আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, শীর্ষ আদালতের উচিত ট্রায়াল কোর্ট ও গুজরাত হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখা, নাহলে এটি একটি অন্তহীন বিচার প্রক্রিয়ায় পরিণত হবে। অন্যদিকে, জাকিয়া জাফরির তরফে হাজির আইনজীবী কপিল সিবল জানিয়েছিলেন, সিট তদন্ত করেনি, বরং অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় সরকারি হিসেবে ১ হাজার ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭৯০ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। ২২৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের। যদিও বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর হিসেব ছিল ২ হাজারেরও বেশি। প্রায় আড়াই হাজার লোক গুরুতর আহত হন। এখনও নিখোঁজ প্রায় ২২৩ জন। এছাড়াও প্রচুর মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এহেন হিংসার জন্য এখনও নরেন্দ্র মোদিকেই দায়ী করেন তাঁর নিন্দুকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − sixteen =