আলুতে যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এলামাটি থেকে শুরু করে ইটের গুঁড়ো ও কেমিক্যাল মেশাতে না পারে সেই জন্য শুরু হল পুলিশি অভিযান। হুগলি জেলার সিঙ্গুর থেকে শুরু করে হরিপাল, নালিকল ও তারকেশ্বর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের অভিযান শুরু হয়। যাতে আলুতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এলা মাটি মেশাতে না পারে। তবে তা সত্ত্বেও বেশ কিছু কিছু জায়গায় আলুতে এলা মাটি মেশানো কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুইদিন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর হরিপাল নালিকুল এবং তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন আলু সংগ্রহ শালা গুলিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এই বিষয়ে সিঙ্গুর এলাকার পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক সুকুমার সামন্ত জানান, আমরা এই রং মেশাই এই কারণেই, এর ফলে আলুর দেখতে অনেকটা সতেজ লাগে, ফলে ব্যবসা ভালো হয়। এর জন্যেই এই রং মেশানো হয়। কিন্তু এতে কোনও কেমিক্যাল অন্যান্য ক্ষতিকারক কিছু মেশানো হয় না। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করার পর থেকে এই রং মেশাবার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। তা সত্ত্বেও যদি মেশানো হয় তাহলে আমরা নিষেধ করবো। মঙ্গলবার বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে এই ধরনের কাজ কিন্তু সমান তালে চলছে। এই আলুর সঙ্গে ইটের গুঁড়ো মেশানো হয়। একথা শিকার করে নিয়েছেন আলু বাছাই শ্রমিকেরা। শ্রমিকেরা আরো বলেন, মালিক আমাদের বলেছেন আলুতে ইটের গুঁড়ো মেশানোর জন্য। তাই মেশানো হচ্ছে। এই বিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী জানান, ইতিমধ্যেই পুলিশি অভিযান চলছে। যদি এই ধরনের কাজ কেউ করে তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপরদিকে খাদ্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র জানা গিয়েছে, সতর্ক করার পরেও কেউ যদি আলুতে এলা মাটি মেশায় তাহলে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আলুতে এলা মাটির মতো ক্ষতিকারক জিনিস মেশানো বন্ধ করতে তৎপর প্রশাসন।