মেধাবী আদিবাসী ছাত্রীর উচ্চশিক্ষা দায়িত্ব নিলেন মালদার জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া

উচ্চমাধ্যমিকে মেধাবী আদিবাসী ছাত্রীর উচ্চশিক্ষা দায়িত্ব নিলেন মালদার জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া। জেলাশাসকের সহযোগিতা পেতেই ভবিষ্যতে কৃতি ওই ছাত্রী আইএএস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মালদার জেলা শাসকের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে গোটা আদিবাসী সমাজ। মঙ্গলবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরোল গ্রামের কৃতি ওই ছাত্রী ভারতী মুর্মু তার পরিবারের সঙ্গে মালদার জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া সঙ্গে দেখা করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতি ও ছাত্রীর সঙ্গে এদিন এসেছিলেন মালদা আদিবাসী সেলের তৃণমূল নেতা চুনিয়া মুর্মু সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরোল গ্রামের ছাত্রী ভারতী মুর্মু এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৫ নম্বর পেয়েছে। দুঃস্থ পরিবারের ওই ছাত্রী দৌলতপুর হাইসস্কুলে পাঠরত। পরিবারে তার বাবা বিনয় মুর্মু পেশায় দিনমজুর। বিনয়বাবুর পরিবারে তিন ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছে।
এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভারতী মুর্মু কলা বিভাগের পরীক্ষা দিয়ে মোট ৪৭৫ নম্বর পেয়েছে। বাংলায় পেয়েছে ৯৭, ইংরেজিতে ৯৯, ভূগোলে ৯৪, ইতিহাসে ৯৩ এবং দর্শনশাস্ত্রে পেয়েছে ৯২।
মালদার তৃণমূল পরিচালিত আদিবাসী সেলের নেতা চুনিয়া মুর্মু বলেন, গত সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুরের আদিবাসী এলাকায় জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া গিয়েছিলেন। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেই সময় জেলাশাসক জানতে পারেন আদিবাসী গ্রামে দুঃস্থ পরিবারের মেয়ে ভারতী মুর্মুর উচ্চমাধ্যমিকে অসাধারণ সাফল্যের কথা। এরপরই ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে জেলাশাসক মঙ্গলবার তার দপ্তরে দেখা করার জন্য বলেন। সেখানে জেলাশাসক ভারতী মুর্মুর ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে কৃতি ওই ছাত্রী ভারতী মুর্মু বলেন, আমার বাবা সামান্য দিনমজুরি করে। পাঁচজনের পরিবারের খুব কষ্টে চলে। এক চিলতে টালির বাড়িতে রয়েছি আমরা। তবে জেলাশাসক যেভাবে আমাকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছেন। তাতে আমার খুব ভালো লাগছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − two =